For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)মীর-মানস ৭ একথা স্বীকার করতে হবে। গাজী মিয়ার বস্তানীর om কমলা-
কান্তের দপ্তরের তাষ৷ অপেক্ষ৷ frees বস্তানীর ভাষার সাথে আলালের
ঘরের দূলালের Stata বেশ মিল আছে। (প্২১)
“বাজীমযাত্ ” প্রবন্ধে লেখক মোহাম্মদ ইদরিস আলিও মীর-মানসের
বিচারে স্ুস্থির রসবোধ এবং অস্থির ইতিহাস-চেতন৷ উভয়কে অবহেলা
করেছেন। যদি না করতেন তাহলে কখনই বলতে পারতেন না যে,
“বাজীমাত্ * ব্যঙ্গ-রঙ্গ রচনা। তৎকালে প্রচলিত বাঙ্গরচনার মতই
এর মধ্যে Biss প্রশ্রয় আছে। এদিক দিয়ে TAS এখনও
অবশ্য সাহিত্যের ক্ষেত্রে এসে পৌঁছায়নি। ঈশ্বরওপ্ত, দীনবদ্ধু,
বঙ্কিমচন্দ্র সকলেই বঙ্গের স্থল রূপটা দেখিয়ে গেছেন।
বাজীমাতের প্রকাশ কাল ১৩১৫। 'তৎকালে” রবীন্দ্রনাথ তাঁর মধ্যজীবন
অতিক্রম করে গেছেন । এই asst প্রচলিত ব্যঙ্গরচনায় স্থূলতা
যদি কোথাও প্রশ্রয় পেয়ে থাকে, তবে তা সাহিত্যের আসরে নয়,
বটতলায়। বটতলার আর একাল সেকাল কি! তাছাড়া বাংলা সাহিত্যে
রঙ্গরস-সুষ্টির বিবর্তন-ধারায় ঈশুবরওপ্ত, দীনবন্ধু ও বন্কিমচন্ত্রের স্বান ও দান
একই বিন্দুতে স্থিতিশীল নয়। কালের বিচারেও “সংবাদ প্রতাকর' ও
'বঙ্গদর্শনে'র মধ্যে প্রায় অর্বশশতাব্দীর ব্যবধান। আধুনিক বাংলা
সাহিত্যে পঞ্চাশ বছরের পার্থক্য, তাৎপর্যের বিচারে, অনেক সময়
প্রাচীন ও মধ্যয্গের কয়েক শত বৎসরের তুল্যমূল্য। দীনবন্ধু ও
বন্কিম উভয়েই ঈশ্বর ওপ্তের শিষ্য ছিলেন নামে মাত্র, আসলে আয়ত্ত
করেছিলেন erat বিদ্যে। ঈশ্বর গুপ্তের পর দীনবন্ধু দামী ও
দীপ্যমান ব্যঙ্গ-রঙ্গ VIA ক্ষেত্রে আনকোর! নতুন মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা
করেছেন, বাঙালীর রসচেতনার স্তর ও পরিধি wert বাড়িয়ে দিয়ে
গেছেন। বন্কিমের সামাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় আরো পরে । তাঁর AY
সাহিত্যকর্মই অশ্রীলত! ও taf, স্থলত৷ ও গ্রাম্যতার বিরুদ্ধে একটা
প্রবল প্রতিবাদ-স্বরূপ। ঈশ্বর গুপ্ত কি দীনবদ্ধুর গুণকীর্ত ন করতে বসেও
বঙ্কিম বদ্ জোবান সম্পর্কে নিজের aaa প্রচ্ছন্ন রাখেন নি।