প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে তন্ত্রের প্রভাব [সংস্করণ-১] | Prachin O Madhyajuger Bangla Sahitye Tantrer Prabhab [Ed. 1]

২ / প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে তন্ত্রের প্রভাব man's Consciousness and faculties, a process through which the individual's inherent, spiritual powers can be realized. ”২ UAT, নিগম, যামল, সংহিতা, ডামর ইত্যাদি বিভাগে তন্ত্রশাস্ত্রের বিশাল পরিধিটি রচিত। 'আগম” ও “নিগম' হচ্ছে তন্ত্রশাস্ত্রের দুটি প্রধান বিভাগ। 'আগম” ও 'নিগমে'র নিম্নোদ্ধত সংজ্ঞাটি সবিশেষ প্রচলিত ;যথা,-__ “আগতং PACTS গতঞ্চ গিরিজামুখে। মতঞ্চ বাসুদেবস্য তস্মাদাগমমুচ্যতে।। নির্গতো গিরিজা Teele গতশ্চ গিরিশশ্ুুতিম্‌। মতশ্চ বাসুদেবস্য নিগমঃ পরিকথ্যতে।।”* শিবপ্রোক্ত তন্ত্রের নাম 'আগম” এবং ভগবতীপ্রোক্ত তন্ত্রের নাম 'নিগম”। বাসুদেব-সম্মত বলার তাৎপর্য এই যে, তন্ত্র বেদবিরুদ্ধ নয়। তন্ত্রশাস্ত্রে সংহিতা” ভাগ সাধারণত? বৈষ্ণবতন্ত্রকে নির্দেশ করে। 'বারাহীতস্ত্রে আগমের লক্ষণ বর্ণনা-প্রসঙ্গে উক্ত হয়েছে যে, “সৃষ্টিশ্চ প্রলয়শ্চৈব দেবতানাং তথার্চনম্‌। সাধনফ্ঞ্ব সর্বেষাং পুরশ্চরণমেব চ ।। যট্কর্মসাধনফৈ্র ধ্যানযোগ চতুর্বিধাঃ সপ্ুভিরলক্ষণনৈর্যুক্তমাগমং তদ্‌বিদুর্বুধাঃ |” অর্থাৎ সৃষ্টি, প্রলয়, দেবতার্চনা,সকলের সাধন, ষট্কর্মসাধন ও চতুর্বিধ ধ্যানযোগ-_এই সাতটি যাতে আছে, তা” আগম। কিন্তু এই লক্ষণগুলির দ্বারা সমস্ত তন্ত্র ও আগমের বিষয়বস্তুর পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওযা যায় না। বিদ্যা, ক্রিয়া, যোগ ও চর্চা--এই চারটি পাদ বা অংশে “মতঙ্গপরমেমশ্বরী' তন্ত্রের যে বিভাগ YB হয়, তার দ্বারা তন্ত্রশাস্ত্রের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। তন্ত্র শাস্ত্র বিপুল এবং তন্ত্রগ্রস্থও SST | তন্ত্রশাস্ত্রে ও তন্ত্রগ্রহগুলিতে বর্ণিত বা আলোচিত বিষয়বস্তু এইরূপ ঃ-_তন্ত্রের উৎপত্তি ও স্বরূপ, CNS উপাসনার প্রয়োজনীয়তা, শিবশক্তিতত্ত ও সৃষ্টিরহস্য, গুরু ও শিষ্য, দীক্ষা ওঁ অভিষেক, পিগুব্রন্মাগুতত্ত্ব বা দেহতত্তব, বিভিন্ন আচার ও ভাব, নানারকম সাধনপদ্ধতি এবং পঞ্চতত্তব, যোগতন্তব, যন্ত্র-মুদ্রা-ন্যাস-সিদ্ধি প্রভৃতি | এছাড়াও তন্ত্রশাস্ত্রে দেবতাদের সংস্থান, তীর্থসমূহের বর্ণনা, আশ্রমধর্মের বিবরণ, জ্যোতিষ্কগণের সংস্থিতি, প্রাচীন ইতিবৃত্তাদি কথন, শুদ্ধাশুদ্ধিতত্ত্বনিরূপণ, স্বর্গ আরকের লক্ষণ, রাজধর্ম, দানধর্ম, যুগধর্ম প্রভৃতি বহুবিচিত্র বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।