আত্মজীবনীর স্থাপত্য | Atmajibanir Sthapatya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২০ আত্মজীবনীর স্থাপত্য রাখার চেষ্টা চলতে থাকে। নারীশিক্ষার পথ রুদ্ধ হবার ইতিহাসে তাই প্রথম ধাপ। পরবর্ত সময়ে যখন মানসিক অবরোধের সঙ্গে যুক্ত হল শারীরিক অবরোধ, তখন থেকেই নারীর শিক্ষার দ্বার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শাস্ত্রের নজিরও প্রমাণ করে, নারীর শিক্ষার অধিকার ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছিল। তাই শিক্ষিত নারী সম্পর্কে বলা হত-_ “Tyas সতীঃ তা উ যে পুংসঃ আছঃ”* অর্থাৎ নারী হয়েও সে পুরুষ। এমনকি অবরোধে রাখার চেষ্টাও চলতে থাকে ব্রাহ্মণের যুগ থেকে। কাজেই অস্তঃপুরবাসিনী নারী ক্রমেই বন্দিনি নারীতে পরিণত হতে থাকেন। সোমযাগে আছে-_ “বজ্র বা লাঠি দিয়ে নারীকে মেরে দুর্বল করা উচিত যাতে নিজের দেহ বা সম্পত্তির ওপরে তার কোনো অধিরুার না থাকে'।৫ স্পষ্টই বোঝা যায়, শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্যেই নারীকে স্বামীর অধীনে থাকতে বাধ্য করা হত। এই মানসিকতার ফলে গুপুযুগের oral লক্ষ করা যায়, লক্ষ্মী নারায়ণের পদসেবা করছেন। এভাবে ক্রমশ নারী অসম্মানিত হতে থাকেন রামায়ণ, মহাভারত থেকে পুরাণ, why ও স্মৃতিতে। নারীর পরিচিতি হয় 'নারী নরকের aa’ যোড়শ শতাব্দীতে নব্যস্মৃতি রচিত হয়, রচনাকার স্মার্ত রঘুনন্দন ভট্টাচার্য। রঘুনন্দন বা SSN মতো NAAN সেখানে পুরুষের শিথিলতা বা স্বাধীনতাকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন যেখানে নারীসমাজকে সবকিছু থেকে বঞ্চিত করে পিতৃতন্ত্রের প্রতাপকে নিরঙ্কুশ করার জন্য আয়োজিত রীতিনিয়মের কঠোরতাই পেয়েছিল বিশেষ প্রাধান্য। বাস্তবিক পক্ষে প্রথমযুগে নারী পুরুষের সমকক্ষ ছিলেন না ঠিকই, তথাপি নারী তখনো ব্যক্তি ছিলেন, বস্তুতে পরিণত হননি। তারপর সমাজে সুযোগ গ্রাহী শ্রেণির স্বার্থরক্ষার জন্যই নারী উত্তরোত্তর শুধুমাত্র পূর্বেকার অধিকার থেকে বঞ্চিতই হলেন না, ভোগ্যবস্তু ও পণ্যদ্রব্য হিসেবে বিবেচিত হলেন। নারীর এ পরিণতির জন্য যে-সমাজ দায়ী তার নাম পিতৃতন্ত্র। পিতৃতন্ত্রের উদ্ভব এবং নারীর হীনাবস্থার জন্য এঙ্গেল্স অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উপর জোর দিয়েছেন। তার মতে ব্যক্তি-মালিকানা ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির উদত্তভবই প্রধান কারণ। অন্যদের মতে ঘটনাচক্র দায়ী। পিতৃতাস্ত্রিক সমাজ নারীকে SAA সম্পত্তি মনে Baw | কাজেই বিবাহ-পরবর্তী সমাজে স্ত্রী স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার ফলে পিতার বাড়ি তার সাহায্য, সেবা ও অন্যান্য কর্ম থেকে বঞ্চিত হল। দেখা যায়, সে-ক্ষেত্রে কন্যার পিতার কন্যামূল্য দাবি করার সুযোগ ছিল। এই রীতি নারীকে যে পণ্যদ্রব্য করে তুলেছিল, এরকম ইঙ্গিতও রয়েছে বৈদিক সংহিতা যুগের মন্ত্রটিতে-_ “অশ্রবং হি ভূরিদাবত্তরা বাং বিজামাতৃরুত বা ঘা স্যালাৎ। BA সোমস্য Ans যুবভ্যা Fas স্তোমং জনযামি নব্যম ॥””* বাংস্যায়নের কামসূত্রেও বলা হয়েছে “ANA পণ্যদ্রব্যের TS | স্ত্রীকে বাজি রেখে পাশা খেলার কথা রয়েছে মহাভারতে | অথচ মনুসংহিতার এক জায়গায় আছে-_ Wy AME পূজ্যস্তে রমস্তে তত্র HAS | যাত্রৈতাস্তুন পূজ্যত্তে সর্ব্বাস্তত্রাফলাঃ ক্রিয়াঃ॥””* এমনি বিপরীতধর্মী চিত্র আমরা নানাস্থানে দেখতে পাই। নারীর অবস্থান সম্বন্ধে এক স্থানে



Leave a Comment