বলাকা-কাব্য-পরিক্রমা [সংস্করণ-১] | Balaka-kabya-parikrama [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
~ নিবেদন ৫ তিনি সেদিন যে-সব আপত্তি করেন তাহারই কিছু নমুনা ইতংঃপূর্বে দেওয়া হইল | কিন্তু সেই সমস্ত আপত্তিতে কেহই টলিলেন না, সকলেই আহারাস্তে মধ্যাহুকালে শান্তিনিকেতনের অতিথিশালার দোতালার ঘরে গিয়া শুনিতে বসিলেন। তখন বাধ্য হইয়। কবি তাঁহার কাব্য সম্বন্ধে কিছু বলিতে আরম্ভ করেন। ১৩ই বৈশাখ মধ্যাহ্ে তিনি তাঁহার রচনার একটা সাধারণ site, করেন। তাঁহার বাল্যকালের রচনার কথাও বলেন। | ১৪ই বৈশাখ কবি 'সন্ধ্যাসংগীত' সম্বন্ধে বলিতে আরম্ভ করিয়| 'বৌঠাকুরাণীর হাট” পর্যন্ত আলোচনা করিলেন ৷ সেদিন সাহিত্য আলোচনার পর কথা-প্রসঙ্গে শাস্তিনিকেতনের আদর্শ ও কর্মপদ্ধতি সম্বন্ধেও কিছু কথাবার্তা হইল । তাহার পরে ক্রমে ক্রমে তিনি তাঁহার কাব্যগুলির এক একটি ধরিয়৷ আলোচনা করিতে লাগিলেন | (মনে আছে, ১৮ই বৈশাখ, সোমবার, “বিদায়-অভিশাপ” আলোচনা প্রসঙ্গে কবি পুকরুষ-প্রকৃতির কথা পাড়িলেন । তিনি বলিলেন, "পুরুষ অর্থাৎ আত্ম সদাই অগ্রসর হয়ে চলতে চায়। প্রকৃতি বা নারী চায় তাকে বেঁধে রাখতে। সৌন্দর্য, সেবা প্রভৃতি সবই হোলো প্রকৃতির অঙন্নয়েরই লীলাম্য় নানা কূপ । কিন্তু APACE যে যুগ-যুগাস্তর বেয়ে লোক-লোকাস্তর পার হয়ে HALTS এগিয়ে চলতেই হবে। তাই এমন সাগ্রহ অনুনয় সত্বেও পথে সে কোথাও থেমে যেতে HHT! তাই সর্বচরাচরময় পুরুষের এই “যাই-যাই' বিদায়বাণী নিরস্তর ধ্বনিত । আর নিখিল চরাচরে ক্রমাগত চলেচে প্রকৃতির “থাকো- থাকো” বলে বেদনা-ভরা কাতর GN! প্রকৃতির এই Aaya অনুনয়- বাণীরই নিবেদন সকল সৌন্দর্য ও মাধুধে সর্বত্র ধ্বনিত হচ্চে। fares এই বেদনাতেই করুণ। “নানা সম্বন্ধের নানা রূপে চলেচে প্রকৃতির সেই একই অঙন্গনয্ন-বাণী। কিন্তু সব বাণীতে করুণ বেদন একই ৷ “কচ ও দেবযানী*তে প্রণয়িনীরূপে প্রকৃতির এই বেদনা-বাণী, “যেতে নাহি fra’ কবিতায় sane fate গৃহলক্ষ্মীরপে etafwa এই ব্যথা। “কর্ণকুষ্তীসংবাদে' মাতৃরূপে এই আহ্বানই ফুটে উঠেচে। সর্বত্রই “থাকো-থাকো' ব'লে প্রকৃতির এই একই অঙ্গনয় ধ্বনিত হচ্চে । কিন্তু পুরুষের তো কোথাও থেমে থাকবার CH নেই। ভ্রমাগতই তাকে চলে যেতেই ay সর্ব বন্ধনের অতীত পুরুষের এই সদাগতির জন্যই বিশ্বপ্রকৃতিতে এত বেদ্দনা। মুক্তিপথধাত্রী পুরুষ আপনাকে কেমন ক'রে সেই বাধনে Atel দেবে ১



Leave a Comment