স্বামী একটি গৃহপালিত জন্তু | Swami Ekti Grihapalita Jantu

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
-না খেয়ে উপায়? বলতে বলতে জলের বোতল হাতে তুলে নেয় তাপস। বাঘিনীর মতো তাপসের হাতের ট্যাবলেটের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে সাধনা, তোমার মাথাটা একদম গেছে। নইলে পেইনকিলার ভেবে কেউ কন্ট্রাসেপটিভ-_ -_ধুস! হতাশার WA পৌছে যায় তাপস,--একটু চুনহলুদণও তো গরম করে দিতে পারতে? -_আমার দায় পড়েছে? মাঝরাতে এখন চুনহলুদ-_পাড়ার ছেলেরা তোমাকে ঠিক নামেই ডাকত--আবার বিছানায় শরীর বিছিয়ে দেয় সাধনা। রান্নাঘরে গ্যাস জ্বেলে চুন-হলুদ খুঁজে গরম করার চেয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়াই ভালো। বিবেকানন্দের বাণীর প্র্যাকৃটিকাল করার চেষ্টা করাই উচিত। ব্যথার জায়গা থেকে যোগবলে মন তুলে নেওয়া | ব্যথাও থাকল অথচ ভোগাস্তিও হল না। মনের ভাবনা মনের ভেতর তলিয়ে দিতে দিতে বোতলের জল গলায় ঢালে তাপস। মুখে বলে ফেললেই শুনতে হবে সাধনার খোঁটা--পাড়ার ছেলেদের “বলদা'” ডাকার গল্প। কিন্তু 'বলদা” ডাকলেই তো আর সে বলদ হয়ে যাচ্ছে না। দাসদা, বোসদা, সেনদা, চ্যাটার্জিদা হলে বলদা হবে না কেন? নামই তো তার তাপসকুমার বল। পদবীর সঙ্গে 'দা” যোগ কী এমন অসম্মানের? যতই তোমার পদবী থাকুক “সরকার -বিয়ের পর এখন আমার দৌলতে “বল ATA মনে আনন্দে মাথা দোলায় তাপস। কেউ যদি তোমাকে দিদির “দি” জুড়ে 'বলদি' বলে ডাকে? বলদের স্্রীলিঙ্গ বলদি হয় না ঠিকই, কিন্তু গরু বোঝাতে- সে যাক গে। যার যা ভাবনা। তবে হ্যা, 'বলদা” শব্দটা শুনতে একটু কানে বাজে বইকি! ভাবতে ভাবতে আলো নিভিয়ে নিজের স্থান করে নেয় বিছানার এক কোণে । মামনের জন্মদিনে সমীর সেদিন ঠিকই বলেছিল রাজুকে। রাজুর সঙ্গে সমীরের অনেকদিন পরে দেখা তাপসদের বাড়ি | --কেমন আছ সমীরদা? জিজ্ঞেস করেছিল রাজু। কোনও উত্তর না দিয়েই জন্মদিনে ফোলানো এখানে ওখানে ঝোলানো বেলুন গুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল সমীর gs দুই তিন চার-_ --কথা বলছ না যে? কেমন আছ? নাছোড়বান্দা রাজু উত্তর না কেড়ে ছাড়বেই বা কেন! - ওই ওকে জিজ্ঞেস করো--চোখের ঝলক নাচিয়ে জবাব দিয়েছিল সমীর। — কাকে? অবাক রাজুর চোখে ছিল বিস্ময়ের প্রশ্নবোধক চিহ্ন। -কাকলিকে।--বারো, তেরো, চোদ্দো। সংক্ষেপ না আক্ষেপ বুঝতে না পেরে সমীরের ব্যবহারে আঘাত পেয়েছিল রাজু — Ait নয়, তুমি কেমন আছ জানতে চেয়েছি। ভুল বোঝাবুঝির জাল সরাতে ১৪



Leave a Comment