For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)তোষামোদ দরকার হয় না শুধু ধুবর বেলায়, তখন আর মুখে হাসি
আসে না। ধুব একদিন বলেছিল, ওদের এত তোয়াজ করে কি হবে, পাঁচটা টাকা
কোথাও বেশি পেলেই তো কেটে AWA তখন আর... প্রীতি রেগে গিয়ে বলেছিল, হেসে হেসে কথা বলবো না তো কি
দিনরাত ওদের নিয়ে অশাস্তি করবো | সকলের সঙ্গে দিব্যি শাস্তি বজায় রেখে চলবে প্রীতি, কিন্তু ধুবর
ভালমানুষিতেই ওর আপত্তি | যাও, বাড়িওয়ালা রাখালবাবুকে কড়া করে
বলে এসো | অথচ ও বাড়িওয়ালা লোকটিকে এড়িয়ে এড়িয়ে চলতে চায়,
মুখোমুখি হলেই উদ্বেগ বাড়ে, অশান্তি বাড়ে । এমন কি ভাড়া দেওয়ার পর
রসিদটা দিতে দু'এক সপ্তাহ দেরি করলেও ওর কাছে গিয়ে মনে পড়াতেও
ইচ্ছে করে না। রাখালবাবুদের চাকর-বাকরকে বলে, বাবুকে বলিস,
রসিদটা এখনও পাই নি | কিংবা গোঁপওয়ালা বিহারী দারোয়ানকে বলে
বাবুকে মনে পড়িয়ে দিতে | তারপরও হা-পিত্যেশ করে বসে থাকা, কবে বাবুটি রসিদ পাঠাবেন |
আর রসিদে কে যে সই করে কে জানে, ধুব প্রথম দিকের রসিদের সঙ্গে
সই মিলিয়ে দেখেছে; এখন আর একেবারেই মেলে না । এ-সবে কোন
আইনের প্যাঁচ আছে কিনা তাও জানে না | অথচ ধুবর ভদ্রতাবোধে লাগে,
বলতে পারে না, মশাই সইটা আমার সামনেই করুন | কিংবা--টাকা
দিচ্ছি, রসিদটা এখনই দিয়ে দিন | এ যেন জমিদার আর প্রজার সম্পর্ক | ভাড়ার টাকাটা দিতে যাবার
সময় নিজেকে বড় ছোট লাগে I অফিসের অবিনাশ হাসতে হাসতে বলেছিল, যত কমিউনিজম
গ্রামের জমি নিয়ে, কোলকাতায় ষোল আনা LTO | ধুব বলেছিল, ধনতন্ত্র বলছো কেন, এখনও সেই ফিউডেলিজম্ । দশ
বিশখানা বাড়ি থাকলেও কোন আপত্তি নেই | ও-সব কথা বলে মনের ঝাল মেটানো যায় | কিন্তু বুকের ভিতর থেকে
উদ্বেগ দূর করা যায় না | ভাড়াটে হয়ে থাকা মানেই একটা fore
অশান্তির সঙ্গে সহ-বাস করা | সকালে দেখা দৃশ্যটা বারবার মনে পড়ছিল বলেই ধুব মন থেকে
১৮