For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)আংশিক সত্য হইতে পারে, অপর সকল অংশ অবসশ্যই অতিবর্ণনা। নিতান্ত
ইংরেজছদ্বেষ্টা না হইলে এমন অযথা বর্ণনায় কেহ সন্তোষ লাভ করিতে পারে না ।
*** এইসব বলাতে আমাদের এমন অভিপ্রায় নয় যে স্রেন্দ্র-বিনোদিনী কেবলই
দোষপূর্ণ নাটক ৷ ইহাতে কোনো অঙ্গে গুণও যে আছে আমরা স্বীকার করি।
আবার যখন লিখিবেন, অসামাজিক ও অস্বাভাবিক বর্ণনার দোষগুলি পরিমার্জনের
চেষ্টা করিবেন | বিরুদ্ধ সমালোচনা সত্বেও স্থরেন্দ্র-বিনোদিনী নাটক সেকালের দর্শকরা মিয়ে-
ছিল। মুখ্য স্ত্রী চরিত্রে অভিনয় করেছিল catering | কিন্তু অলক্ষ্যে রাজরোষে
পড়েছিল স্থরেন্দ্র-বিনোদিনী | কিছুটা অশ্লীলতার দায়ে এবং কিছুটা রাজার
জাতের সমালোচনায় | এখানে সঙ্গত কারণেই গোলাপস্থন্দরীর কথা এসে যায়। কলকাতার থিয়েটারে
সেকালে স্ত্রী চরিত্রে অভিনয়ের ay প্রথম aia] এগিয়ে আসেন, গোলাপস্নন্দরী
তাদেরই একজন ৷ উপেন্দ্রনাথ দাসের শরৎ সরোজিনী নাটকে সকুমারীর চরিত্রে
অসাধারণ অভিনয়ের পর গোলাপ নতুন পরিচিতি পাঁয় সুকুমারী নামে । উপেন
দাসের চেষ্টায় গোষ্ঠবিহারী দাস নামে এক সন্তরান্ত লোকের সঙ্গে স্কুমারীর বিয়ে
হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে বিয়ে স্তখের হয়নি । একটি কন্যার জন্মের পর গোষ্ঠ-
বিহারী অভিনয়ের জগৎ ছেড়ে বিলেতে চলে গেলেন ব্যারিস্টারি পড়ার ace |
নিদারুণ ছুর্দশায় পড়ে স্কুমারী আবার ফিরে এসেছিল রঙ্গমঞ্চে । আঠারো শ' পঁচাত্তর সালে শীতের মরপ্তমে প্রিন্স অফ, ওয়েল্স যুবরাজ AAI এড-
ওয়ার্ড কলকাতার fact ঘাটে এসে পৌছালেন। সারা কলকাতায় তখন
অভাবনীয়-অ।কজমক। যুবরাজের সম্বর্ধনার জন্যে সে সময়ে প্রচুর টাক! খরচ
হয়েছিল । অর্থসংগ্রহের ব্যাপারে দিকে দিকে প্রতিবাদের ave উঠেছিল |
কিন্তু কোনো প্রতিবাদই উৎসবের সমারোহকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। যাই
হোক, সেই Wet কলকাতা হাইকোর্টের একজন নামকরা উকিল জগদানন্দ
মুখোপাধ্যায় যুবরাজকে তার ভবানীপুরের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানালেন । যুবরাজ
তা সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন । নির্দিষ্ট দিনে জগদানন্দবাবুর বাড়িতে “tte
বাজিয়ে, গলায় ফুলের মালা দিয়ে বাড়ির মেয়ের! যুবরাজকে অভ্যর্থনা জানাল |
এই Sha] সেদিন সারা কলকাতাকে এক নতুন রসের আস্বাদ দিয়েছিল। ১২৮২
বঙ্গাব্বের ২৮ পৌষ ও ৫ মাঘ সুলভ সমাচার পত্রিকা রসাল সংবাদ পরিবেশন 2