রবীন্দ্র-মনীষা | Rabindra-manisha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৮ রবীন্দ্র-মনীষ] রূপকগুলিকে সাজিয়ে তোনবার ভার পড়েছে আমার উপর, এই-ই আমার একমাত্র পরিচয়।” চঞ্চলের লীলাসহচর রবীন্দ্রনাথের এই পরিচয় বাংলা সাহিত্যে অক্ষয় হয়ে আছে। চার মানবপ্রেম £ মংলারপীতি- রবীন্ত্রমানসের অপর পরিচয় | সে পরিচয়ের স্বাক্ষর “আত্মপরিচয়” গ্রন্থে ছড়ানো রয়েছে | পঞ্চম প্রবন্ধে কবির মানবপ্রেমের CBAs পাই-“আমি ভালবেসেছি এই জগৎকে, আমি প্রণাম করেছি মহৎকে, আমি stan করেছি মুক্তিকে, যে-মুক্তি পরমপুরুষের কাছে আত্মনিবেদনে, আমি বিশ্বাস করেছি ata Wey মহামানবের মধ্যে, যিনি সঙ্গ] জনানাং হয়ে সন্গিবিটঃ |.'--আমি এসেছি এই ধরণীর মহাতীর্থে-- এখানে a সর্বজাতি ও সর্বকালের ইতিহাসের মহাকেন্দ্রে আছেন নরদ্বেবতা,-_ তারই বেদীমূলে নিভৃতে বসে আমার অহংকার আমার ভেদবুদ্ধি ক্ষালন করবার gate চেষ্টায় আজও প্রবৃত্ত আছি।” পুনশ্চ-কাব্যে ও মানুষের ধর্ম ও Religion of Man ভাষণে যে মানবতার জয়ধ্বনি, এখানে তারই প্রতিধ্বনি শুনি | এই গ্রন্থের শেষ (WB) প্রবন্ধে “আশি বছরের আয়ুঃক্ষেত্রে” দাড়িয়ে একই, বক্তব্য রবীন্দ্রনাথ নোতুন করে উপস্থিত করেছেন, বলেছেন, “মনে আশা করেছিলুম পৃথিবী থেকে অবসর নেবার পূর্বে একদিন নিখিল মানবকে সেই এক আত্মার আলোকে প্রদীগুরূপে প্রত্যক্ষ দেখে যেতে পারব | কিন্তু অন্তরের উদয়াচলে সেই জ্যোতিঃপ্রবাহের পথ নানা কুহেলিকায় আচ্ছন্ন হয়ে গেল। তা হোক, তবু জীবনের কর্মক্ষেত্রে আনন্দের সঞ্চিত সম্বল কিছু দেখে যেতে পারলুম। এই আশ্রমে একদিন মে-যজ্ঞভূমি রচনা করেছি সেখানকার নিঃস্বার্থ অন্টানে সেই মানবের আতিথ্য রক্ষা করতে পেরেছি যাকে উদ্দেশ্য করে বল! হয়েছে অতিথিদ্বেবে ভব। অতিথির মধ্যে আছেন দেবতা।” নরদ্বেবতাকে সংসারের সকল ক্ষেত্রে কবি প্রত্যক্ষ করেছেন, বর্তমান গ্রন্থে তারই উজ্জ্বল উপস্থিতি । পাচ 'আত্মপরিচয়ের অপর প্রধান পরিচয় রবীন্দ্রনাথের ধর্মবোধের বিষ্তৃত ব্যাখ্যান। weed মধ্য দ্বিয়ে মঙ্গলকে ও মৃত্যুর মধ্য দিয়ে জীবনকে নত্য বলে জানবার সাধনাকে কুবি এখানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সোনার তরী-ক্ল্পনা-নৈবেদ্য-উৎসরগ-খেয়া- eth



Leave a Comment