হিজলকন্যা | Hijalkanya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
হাঙ্গামা না হয়ে যায়। এক ধাক্কায় ফতুর হয়ে গিয়েছিলেন AI | যুবক বয়স বলে সামলে নিয়েছিলেন। এখন পারবেন না। জৌলুস সেই থেকে অনেক কমেছে। এখন বরং অন্য জমিদারেরাই হাতির মতো ফুলছেন। হিজলের মাটি তার আয়ত্তে এলে তিনি তাদের চেয়ে AAs বেশি ফুলতেন। প্রধান ভরসা এই প্রধান বড়বেড়েরা। এরা অনুগত থাকলে অনেক দুর এগোনো যায়। ত্রিবেদী বললেন, চৌধুরীর কাছে লোক পাঠিও না। আমি দেখছি। তুমি বরং কাল AVA একবার এসো। CCS | আব্বাসের বলার কথা আরও ছিল। আগামীকাল যখন আসতে বলছেন, সেই ভাল হবে। যেতে যেতে পেছন ফিরে হঠাৎ ডাকল সে, রাজাবাবু! সিঁড়ির ধাপে ব্রিবেদী দাঁড়িয়েছেন। কী হল? আলোটালো দিতে হবে? জবাব না শুনেই হাকলেন, ওরে কান্ত, কান্ত! একটা আলো নিয়ে বড়বেড়েকে পৌঁছে দিয়ে আয়। আব্বাস ক্ষুব্ধ শুনতে শুনতে ৷ কাছাকাছি পৌঁছবার সঙ্গে সঙ্গে বারান্দায় আলো আর বল্লম হাতে কান্ত রাজবংশী। সে তৈরি থাকে ABM! থেকে। আব্বাস হা হা করে হেসে উঠল, কান্ত, তুমি বরঞ্চ রাজাবাবুর ঘরের দরজাটো আগলাও, রাজারানির বড় ভয় ডর... উদ্দাম হাসতে হাসতে আব্বাস বলে চলল, হিজ্লে ডাকপুরুষ ছিলেন ইন্নাস আলি। বাঘের সাথে লড়াই করে হিজলে আবাদ পত্তন কল্পেন। তেনার yea লিবাস আলি। সেও কম করেনি। বানবন্যা রুখতে বাঁধের মাটি প্রথম কোপে Gea! মাথায় বয়ে ফেলেছে। তবে এত CHT RAT | রাজাবাবু, বাঘের বাচ্চা বাঘই হয়.... দ্রুত চলে গেল আব্বাস অবিকল বাঘের ভঙ্গিতে । ব্রিবেদী প্রথম দিকে চাযাড়ে কুৎসিত রসিকতাটায় ক্ষুব্ধ হচ্ছিলেন। শেষে ভীষণ হাসি পেল। বিশেষত কান্তর সুমুখে একটা বুনো লোক এসব কথা তাকে বলল। ঢাকতে AMA কোন TCS | ব্রিবেদীও এত জোরে হেসে উঠলেন যে দালানের ছাদে আশ্রয় নেওয়া চড়ুইগুলো ফরফর করে উড়ে পড়ল ঝাড়বাতির গায়ে। আর কোনদিন সন্ধ্যা করেনি আব্বাস এ বাড়িতে। তাই ব্রিবেদী ওর ব্যাপার-স্যাপার আঁচ করতে পারেননি আদতে | এখন ভাবলেন, এই বুনোগুলোর সেন্টিমেন্ট বুঝে না চললে কখন উল্টোপাকে ঘুরতে সুরু করবে। দেউড়ি পেরিয়ে ats ছড়ানো পথ। খানিক বোৌকে্কের মাথায় টগব্গ করে পা ফেলে হেঁটে আব্বাসের মনে পড়ল, যাঃ আসল কথাটা বলাই হল না। দত্তকে গুড় বেচতে হবে। দত্ত বড় সেয়ানা মানুষ। হিজলের চাষাদের কতখানি ঠকায়, হাড়ে-হাড়ে জানে আব্বাস। কেন না আব্বাস যদি ধানের দর পায় তের আনা Gey পাবে দশ আনা। আব্বাসের এইটুকু খাতির ব্রিবেদীর সুবাদে | তবে মনে মনে যত গর্ব আসে তত দুঃখ। হিজলের লোকগুলো শুধু চাষবাসেই মত্ত থাকল,-ব্যবসাটা হাতে করতে চায় A! আজকাল অবশ্যি দু-চারটে মুদিখানা বসেছে SEC | তারাও বড় ঠগ। আজকাল বেশির ভাগ তৈজস কান্দী বাজার থেকে মাসকাবারী নিয়ে যাচ্ছে লোকে। দত্তের বাবা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বয়ে দিয়ে আসত। নতুন আবাদ। সবে দু-এক পুরুষ পত্তন গেড়েছে।! CS ২০



Leave a Comment