For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৮ হোসেন শাহী আমলে বাংলা মোটামুটি সম্ভোষজনক করে তুলেছিল | বখতিয়ার খলজী এবং শের খানের মতো
আক্রমণকারীরা সম্ভবত পশ্চিমের প্রবেশপথের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যগুলি বুঝতে
পেরেছিলেন, যার ফলে তারা ঝাড়খণ্তের ওধারে বীরভূম ছাড়িয়ে গঙ্গার গতিপথের দিকে
যাওয়া অধিকতর দুর্গম পথ অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছিলেন ।১১ বিহারে
গঙ্গার দক্ষিণ তীরবর্তী ore বলতে গেলে ছিল বাংলার প্রাথমিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়
একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং সম্ভবত এটা উত্তর গাঙ্গেয় উপত্যকায় বাংলার
প্রবেশপথ তিরহুতের বিরুদ্ধে সৈন্য চলাচলের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতো | কাজেই বাংলার শাসকদের বিহারের উত্তরাংশে আধিপত্য করার আগ্রহ সহজেই
বোধগম্য ৷ ভাগলপুরসহ বিহারের পূর্বদিকের অঞ্চলে, মনে হয়, ইওয়াজের কিছুটা
নিয়ন্ত্রণ ছিল সেখান থেকে তিনি বিহার জিলায় ইলতুৎমিশকে বাধাদান অথবা তিরহুত
আক্রমণ করে কর আদায় করতে অগ্রসর হয়েছিলেন ।১২ মুঙ্গের ও বিহার শরীফে
আবিষ্কৃত রুকনউদ্দীন কায়কাউস (৬৯০ হিজরি/১২৯১ খ্রিস্টাব্দ-৭০১হিজরি/১৩০১
খ্রিস্টাব্দ) এবং শামসউদ্দীন ফিরূজের (৭০১হিজরি/১৩০১ খ্রিস্টাব্দ-৭২২ হিজরি/১৩২২
খ্রিস্টাব্দ) আমলের মুদ্রার সাক্ষ্য১০ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে যে, এ দু'জন শাসক
স্বাধীনভাবে বিহারের অংশবিশেষ শাসন করেছিলেন | ভাগলপুর শামসউদ্দীন ইলিয়াস
(১৩৪২-৫৭ খ্রিষ্টাব্দ), নাসির উদ্দীন মাহমুদ (১৪৩৩-৫৯ খ্রিস্টাব্দ) এবং শামসউদ্দীন
মোজাফ্ফরের (১৪৯১-৯৪ MB) মতো ইলিয়াসশাহী এবং হাবসী সুলতানদের
নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল১৪ এবং হোসেন শাহী রাজ্যের সেদিকে আঞ্চলিক বিস্তৃতি ছিল পূর্ব-
অনুসৃত নীতির অনুবর্তন মাত্র। বাংলার দিকে আসা দক্ষিণের রাস্তা, যার কৌশলগত গুরুত্ব ইতিপূর্বে আলোচিত
হয়েছে, তারচেয়ে তিরহুতের ওপর দিয়ে কোসীর পূর্বদিকে উত্তর বাংলার সমতলভূমির
দিকে সরাসরি আসা উত্তরের রাস্তা ছিল যে কোনো আকত্রমণকারী বাহিণীর জন্য
সহজতর পথ । বলবন, গিয়াসউদ্দীন wars, ফিরূজ তুঘলক, ইব্রাহীম শর্কী এবং
বাবরের মতো আক্রমণকারীরা বারবার এ রাস্তাই অনুসরণ করেছিলেন | বাংলার প্রধান
প্রবেশপথ নিয়ন্ত্রণকারী তিরহুতে যে কোনো আক্রমণকারী সৈন্যবাহিনীর উপস্থিতি এ
দেশের রাজনৈতিক নিরাপত্তার জন্য ছিল স্পষ্ট হুমকিস্বরূপ। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সুলতানগণ
উত্তরের সেই গাঙ্গেয় অঞ্চলে এক ধরনের কূটনৈতিক বা প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার
করে এ নিরাপত্তা রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। মধ্যযুগের তিরহতের ইতিহাসের
বৈশিষ্ট্যসূচক রাজনৈতিক ঘটনাদির পর্যায়গুলি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে, দিল্লি বা
জৌনপুরের শাসকগণ সে দেশে বাংলার প্রভাব প্রতিহত করতে যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ
করতে ব্যর্থ হন নি। কথিত আছে যে, কর্ণাটের রাজা দিল্লির বিরুদ্ধে বাংলার শাসকের
আক্রমণাত্মক অভিসঙ্ধিতে সাহায্য করায় গিয়াসউদ্দীন wees ৭২৪ হিজরি/১৩২৪
খ্রিস্টাব্দে বাংলার বাহাদুর শাহের মোকাবেলা করার পর fifa প্রত্যাবর্তনের পথে
তিরহতের হরি সিংহ দেবকে আক্রমণ ও পরাজিত scaler | তিরছতের শাসনভার
আহমদ শাহ বিন মালিক তবলিঘের উপর ন্যস্ত করা হয়েছিল 1১৫ মোহাম্মদ তুঘলক