বুদ্ধদেব বসু : নানা প্রসঙ্গ | Buddhadev Basu : Nana Prosanga

দারুণ মালের কণধারগণের প্রতি” জীবনানন্দ দাস [ ১৯৩৭ J বুদ্ধদেব বসুর 'কন্কাবতী” প্রেমের কাব্য। এ-সব কবিতা পড়তে বসে ওগুলো cea বিদ্রোহের কবিতা নয়, এ-সবের ভিতর ম্লান মানুষের বেদনার কথা মেই কেন, কিংবা হাড়ের থেকে one ঝরে গ'ড়ে এ-সব কবিতায় কন্কালমুণ্ডের Besta উড়ছে না কেন--এ-রকম সব গুঢ় জিজ্ঞাসা আমার কাছে অত্যস্ত অবাস্তর বলে মনে ইয়। বাস্তবিক বিদ্রোহ আমাদের জীবনের অনেকখানি জায়গা aE থাকলেও সে-টা মানবাত্মার পক্ষে ব্যর্থতারই জিনিশ; এবং যেধানে বিদ্রোছের ততটা অবসর নেই সেখানেও কি জোর ক'রে বিদ্রোহ আনতে হবে? শেঠ খর্মসাধনা।-এমন কি শ্রেষ্ঠ শিল্পসাধনা কি তা নয় যা বাছুর স্বলন এবং ক্ষরণ “এবং অসামঞ্জস্যের ভিতর থেকে ধীরে ধীরে জ্যামিতির- এবং যেখানে কোন মহত্তর জ্যামিতি আর জ্যামিতি নয় সুধু-- সমন্বয় ও সৌন্দর্য খুঁজে নিতে পারে ? "আমরা স্বীকার ক'রে নেব যে 'কন্কাবতী' প্রেমের কাব্য, এবং প্রেমের কবিতাগুলো এই বইয়ের ভিতর so কবিতা হয়েছে বা অপ্রাসঙ্গিক জিনিস হয়েছে তাই নিয়ে এই কাব্যের বিচার। অন্য নানা রকম কবিতার মতো প্রেমের কবিতার আবির্ভাব হয়েছে বিভিন্ন রকম ব্যাপকতা, গভীরতা, শূণ্যতা বা অদ্ধকার নিয়ে । sree এইসব প্রেমের কবিতার তিতর কোথাও নিরালম্ব শৃণ্যতা, শববাছকদের "মোট নিস্তব্ধতা বা নিষ্ক্রিয় অন্ধকারের বিভীষিক! নেই; কিংবা সাদা সুর্যের আলো ও হাড় আর কড়ি। কড়ি আর হাড় বলে মনে UH যে দেশে, সে-গ্রদেশ নেই এখানে । তা নাই বা রইল, এই বইটি হ'ল কবিতারাজ্যের আর একটা facet! এই কবিতাগুলোর মধ্যে তিনি বরং,জীবনকে স্বীকার ক'রে নিয়েছেন। জীবন চারদিককার প্রকৃতির রস ও প্রেমাস্পদার সৌন্দর্যের তিতর নিজেকে গন - ক'রে নিয়ে উপস্থিত হয়েছে আমাদের চলতি পথের ওপায়ে কোন ধূসর প্রাসাদের মতো যেন » যেধানে অন্ধকার সিড়ি রয়েছে, রয়েছে রূপ ও কামনার আরশি, জানালায় sala কাচ, বাংরে আধো আধার, 4-4 শাদা পথ, ঝাপসা ছায়ার” ঝিকিরমিকির আলো, হাওয়ার বেহালা, সোনা! ও তামার মতো চাদ, এবং সেখানে বেহালার বুকে নাম ফোটে কন্কাবতী--কদ্কাব্তী 1...... বইটির কোন-কোন কবিতায় পুনরুক্তি বেশি, কথার weer ডালপালার ভিড়ে আবেগ চাপা পড়ে পাথা মেলতে পারেনি | কোন কোন কবিতায় জায়গায় জায়গায়