ওরা কাজ করে | Ora Kaj Kare

সাবি তাড়া দিল,-_গীাকে যাবি না? সাধু মুখে একট শব্দ করিতেই, গরুপ্লি একসঙ্গে এসে সাধুকে ঘিরে দাড়ালো-__সে মনে মনে তাদের গুণে দেখলো সবই ঠিক আছে। সাধু আপন মনেই বলল,-_হ, ঠিক আছে বটে-_ সাবি তার কাঠের বোঝা মাথায় তুলে দিল এবং নিজের পাতার বোঝা মাথায় নিয়ে উঠে দীাড়ালো। গরুগ্লি আগে আগে লাল ধুলি উড়িয়ে চলল গ্রামের দিকে, তার পর যাচ্ছে সাবি তার বোঝা নিয়ে, আর তার পিছনে অস্তরাকাশকে আরক্তিম করে চলেছে সাধু সে কত কি তাবছিল, হঠাৎ বলে উঠলো,- তু ate করবি না ত, মু বিয়৷ করবেক নাই ।-- অর্থাৎ সাবিত্রী যদি তাকে সাঙ্গা না করে, তবে সাধু সারাজীবণ বিবাহ করবে at | সাবি আপন মনে একটু হেসে কি যেন ভাবলো। তার পর হঠাৎ পিছন ফিরে সাধুর মুখের দিকে চেয়ে বললে,-_কেনে, তু তরীকে বিয়া! কর কেনে। সেটা ত ডাগর হইছে, ভাল বটি গরুর পায়ে পায়ে লাল ধুলায় আকাশ ছেয়ে গেছে, সাধুর মুখখানিও আরক্তিম হয়েছে সমস্ত রক্ত যেন মুখে এসে আশ্রয় নিয়েছে। সে কম্পিত কণ্ঠে বললে,-_মু তরীকে জানছি না, ডাগরটি দেখছি না, মু ত সাবিকে জানছি, আমার মন বটি, কেনে তু সাধু হঠাৎ থেমে গেল,-_-বেগবান হৃদয়ের Stal প্রকাশিত হল না, ভিজা কণ্ঠে সে যেন থেমে গেল। সাবি আগে আগে মাথার বোঝ! ছেড়ে দিয়ে দু'হাত দোলাতে দোলাতে যাচ্ছিল, ae সরল দেহের উপরে সে অনায়াসে বোঝার তারসাম্য রক্ষা করেছে। সে চলতে-চলতেই বললে, _ তু কি বলছিস্‌। পাগলা বটি ? ye মরদের কামিন বটি ? সাবি কথাটা শেষ করে ফিরে দীড়ালো-_চেয়ে দেখলো কাষ্ঠভার-পীড়িত সাধুর fara মুখের মাঝে চোখ-দুটি অশ্রময় হ'য়ে ছলছল করছে, সে জবাব দিল না; সাবি আবার চলতে শুরু করলো-__শিয়মিত দৃঢ়-পদক্ষেপে | ছুই-তিনদিন পরে একদিন সন্ধ্যার প্রাক্কালে সাধু এসে বলল,-_সাবি, কাল কামিন দিবি p— সাধুর একখান৷ ডাঙা-জমিতে কিছু মাটি কেটে গভীর ১২ ওরা কাজ করে