বিপ্লবী আন্দোলনের জিজ্ঞাসা [সংস্করণ-১] | Biplabi Andolaner Jigyasa [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ইতিহাসের ছিন্ন পাতায় ১৫ ব্যাপারে পণ্ডিত নেহেরু তার বামপন্থী মতবাদ ত্যাগ করতেও aes! এখানেই নেহেরুর ছুর্বলতা। wae স্থবিধাও। way এ কারণে যে তিনি ছিলেন গান্ধীর সম্পূর্ণ আস্থাভাজন । এ জন্যেই তিনি গান্ধীর ate নৈতিক উত্তরাধিকারী। স্থভাষের সংগে নেহেরুর এখানেই মৌলিক প্রভেদ। স্থভাষচন্দ্র নেহরুর মত হোলে, দেশ ত্যাগ করতে হত না তাকে । পরিস্থিতি বদল হওয়ার Gey গান্ধীর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হতে পারতেন aw Qos | কিন্ত সে Ue ইতিহাস। ১৯৪৬ সালে গান্ধী যখন আর একটা গণ-আমন্দোলনের প্রস্তাব করেন, তখন নেহরু প্যাটেল তাতে রাজী হুননি। কিন্তু Tope তা গ্রহণ করতেন সানন্দে । কিন্তু এসবই অনুমানের কথা | ত্রিপুরীর পরে স্থভাষের মধ্যদিনে গান্ধীর বিকল্প নেতা স্থভাষ। তখন সরকারী কংগ্রেদের অঙ্শাসনের ওগুদ্বত্যের জাল ছিড়ে দিয়ে স্থভাষ আলোয় আলোময। অনেকে তখন জালের ভেতর দিয়ে সত্যিকার রাজাকে চিনতে পারেনি | যারা পেরেছিলেন, স্থভাষকে নেতা মেনে শপথ নিতে পেরেছিলেন, তারা ভাগ্যবান । সে দিক দিয়ে স্থভাষচন্দ্রের সৈনিক হিসাবে তাঁরা তাদের নেতার ইতিহাস xia ক্ষুদ্রতম অংশীদার । ইতিহাস রচনার সন্ধিক্ষণে তারা সামান্ত কর্মী হয়েও ভুল করেন নি। নেতাজী স্থভাষচন্দ্র এক বর্ণাঢ্য মানুষ। অনেকেই তার ভবিষ্যৎ চিন্তার ও সম্ভাবনা সম্পর্কে সজাগ ছিলেন a যেদিন afar অন্ধকারে আপন বাসভবন ত্যাগ করে ভ্রাতৃপ্পুত্র শিশির বস্থর পরিচালিত গাড়ীতে tha করেন সে-ত এক অন্তহীন নিরুদ্দেশ যাত্রা । এ যাত্রা নানা দেশ পরিক্রমার পর শেষ হোল সিংগাপুরে । এখানে রাসবিহারীর সংগে স্থভাষচন্দ্রের মিলন । দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় রাসবিহারীর প্রস্তুতির সংগে যুক্ত হলেন ভারতবর্ষের বিপ্লবী নায়ক FOSS | এ সময় থেকে AH হোল নতুন যাত্রা। এই যাত্রা কেবলমাত্র ভারতবর্ষের স্বাধীনতাকে ত্বরাস্বিত করে নি, বাধ ভেঙে খুলে দিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পরাধীন দেশের মুক্তি সংগ্রামের প্রচণ্ড ধারাপ্রবাহ। ওই কাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়। ওই সময় কিন্তু ভারতবর্ষের অভ্যন্তরে বিপ্লবীদল ব্যর্থ হয়েছেন। কেন ভারতীয় বিপ্লবী আন্দোলন ইপ্সিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনি তার কারণ খুজে বের Sai উচিত ছিল | কোথায় এর TH, কোথায় এর বিচ্যুতি । না হলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বিপ্লবের ইতিহাস।



Leave a Comment