উদ্বোধন [বর্ষ-১৮] | Udbodhan [Yr. 18]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মাঘ ১৪০২ যে লিখবে--সাধুরা গোলাপজল ছোড়াছুড়ি করছে। মহারাজ ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে ভতালবাসতেন। মহারাজের মাছ-ধরা মহাপুরুষ মহারাজ পছন্দ করতেন না। কিন্তু বয়োজ্যেষ্ঠ বলে মহারাজ তাকে ভয় করতেন। তিনি দেখলে বকবেন এবং তিনি দেখতে পাবেন বলে অন্যদের বলতেন s “ছিপটা নিয়ে অন্য দিক দিয়ে ঘুরে গুকুরধারে যা। আমি পরে যাচ্ছি।” সাধুরা সেভাবেই SCH CAG | আর মহারাজ কিছুক্ষণ পর দুহাত নাড়াতে নাড়াতে যেতেন, যেন হাতে কিছু নেই। মহাগুরুষ মহারাজ যে বুঝতেন না তা নয়, বুঝতেন এবং হাসতেন। মহারাজ সঞ্ঘের মেতা, তা বলে বড় ভাইকে কি সম্মান কম করবেন ? তাই তার সামনে দিয়ে ছিপ নিয়ে যাওয়া চলে at | Gta ব্যবহারের এমনই একটা সুন্দর মাধুর্য ছিল | এটি দেখবার জিনিস, শেখবার জিনিস । “ মহারাজ বলতেন £ “আমরা ঠাকুরের প্রেমে একসঙ্গে আবদ্ধ হয়ে এই wey গড়েছি। সৃতরাং এই wed ভিত্তি হলো প্রেম। প্রেম যদি Ue থাকে সঙ্ঘও TET থাকবে” তিনি বারবার একথা বলতেন এবং সেইভাবেই সকলের সঙ্গে ব্যবহার করতেন, আর সকলের ভিতর যাতে এই জিনিসষ্টি প্রেরণারাপে কাজ করে তার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতেন। এটি ছিল তার বৈশিষ্ট্য। সঙ্ঘের নেতা হিসাবে তিনি যেমন ছিলেন প্রেমস্বরাপ, তেমনি সঙ্ঘকে পরিচালনা করেছেন তার অপুর্ব প্রেমের মাধ্যমে | + মহারাজের মধ্যে কোন Hirao ছিল ari একবার গিরিশবাবুর ভাই অতুলবার্‌ এক বন্ধুকে মঠে নিয়ে গিয়েছেন। বন্ধুটি কখনো মহারাজকে দেখেননি, তাই সাধু দেখাবার জন্য অতুলবাবু তাকে মহারাজের কাছে নিয়ে গিয়েছেন। মহারাজের কিন্তু সেদিকে কোন SUH নেই। তিমি তখন ছেলেদের নিয়ে ফত্টিনষ্টি করছেন। এরকম অনেকক্ষণ BHT! WEI ভাবছেন, বন্ধুকে নিয়ে এলাম সাধু দেখাতে আর সাধুর যে কি “মুড'--একটিও ধর্মকথা বলছেন না, খালি ছেলেদের নিয়ে রঙ্গরস করছেন। বন্ধুটি কি মনে করবে | এরকম অনেকক্ষণ বসার পর যখন বন্ধুটি উঠছেন তখন মহারাজ বলছেন ঃ “ওগো আমাদের আবার ভাল কথাও হয়।” বন্ধুটি হাতজোড় করে oct গেলেন। WAAAY ভাবছেন, না জানি বন্ধুটি কি ডাব নিয়ে Cl রাস্তায় বেরিয়ে বন্ধুটি বলছেন ঃ “আজ একজন আনন্দময় গুরুষকে দেখলাম। শুনেছি যারা আত্মানন্দের সন্ধান পান তারা আনন্দময় হন। এমন আনন্দময় পুরুষ কখনো দেখিনি, আজ দেখলাম।” তাষণ WN ব্রহ্মানন্দের কথা _ অনুরূপ আরেকটি ঘটনা আমরা তার একজন সেবকের কাছ থেকে শুনেছি। মহারাজ তখন ভুবনেম্বরে আছেন। তার ঘরের সামনের বৈঠকথখানায় অনেক সময় তিনি পায়চারি করতেন, কখনো সেখানে বসতেন। একদিন মহারাজ বৈঠকখানায় বসে আছেন, হঠাৎ সেবকদের বল্লেন £ “তোরা ভিতরের দিকের দরজাগুলো সব বন্ধ করে দিয়ে বাইরে যা 1” তিনি কেন এমন কথা বললেন তারা জানে না। তাদের ওঁৎসুক্য, কি ব্যাপার! কিছুক্ষণ পরে তিনটি অল্পবয়সা ছেলে ভিতরে চুকে মহারাজের সঙ্গে কথা- বার্তা আরম্ভ করেছে। কি কথা হচ্ছে সেবকরা কিছুই শুনতে পাচ্ছে না, কিন্তু বোঝা যাচ্ছে, খুব হাসি-তামাশা, আর হৈহৈ হচ্ছে। এভাবে অনেকক্ষণ চলল, তারগর তারা চলে গেল। এবার মহারাজ সেবকদের ডাকলেন | দরজা খোলা হ্‌লো। ঘটনাটি হলো-_তিনজন যুবক কলকাতা থেকে বেড়াতে এসেছে | তখনকার আধুনিক ছেলে, তারা ঠাকুর-দেবতা, সাধু-সম্ন্যাসী মানে না। এসব বিষয়কে তারা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য বা fara করে। তারা একটা হোটেলে উঠেছে। কি কি দ্রষ্টব্য আছে জানতে চাওয়ায় হোটেলের মালিক বলেছে $ “এখানে কি আর এমন আছে ? মন্দির আছে, উষ্ণপ্রস্নবণ আছে, আর বেলুড় মঠে সাধু আশ্রম আছে। সেখানে যে-মহারাজ আছেন তিনি রাজার মতো আড়ঘ্বরে থাকেন। তার সোনার গড়গড়া, আর কি ঠাটবাট !” ছেলে তিনটি বলল ঃ “কেন তাকে কেউ শিক্ষা দিতে পারে are” হোটেলের মালিক বলল £ “তিনি কত বড় মানুষ! তার কাছে গিয়ে কে কি শিক্ষা দেবে ?” ছোকরা তিনজন বলল $ “আচ্ছা আমরাই দেখব |” তাই তারা এসেছিল মহারাজকে 'শিক্ষা' দিতে | মহারাজের কাছে এসে তারা Yq আদর আপ্যায়ন পেল । শুধু তাই নয়, তারা যেমন তাদের সঙ্গে ঠিক তেমনি করে তিনি হাসি-তামাশা করলেন। তারা দেখল, মহারাজ তো এসবেও আমাদের হারিয়ে দেবেন। তখন মহারাজের কাছে মাথা TACT তারা চলে covey | শিক্ষা দিতে এসে মহারাজের কাছেই তাদের শিক্ষা নিতে হলো দিনের পর দিন! তাদের সেই উদ্ধত ডাব চলে গেল, শান্ত বিনয়ী হলো। মহারাজের শিক্ষা দেওয়ার ধারা ছিল এইরকম। তিনি যেন ককরে লোকের ভিতরটা জানতে পারতেন। ঠাকুর যেমন বলতেন £ “কাচের আলমারির ভিতরে জিনিস থাকলে যেমন দেখা যায় তেমনি তোমাদের ভিতরটা আমি দেখতে গাই”, মহারাজেরও সেইরকম একটা জানুয়ারি ১৯৯৬



Leave a Comment