For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)মাঝে সরু বেতের সাহাম্যে নিজের পিঠে বেত্রাঘাত দেখার এবং ভঙরের শেষে
দই-চিরা প্রসাদ খাওয়ার আকর্ষণ ছিল দুর্দমনীয়। আমার কাছে অতিরিক্ত আকর্ষণ
ছিল ঢোলের বাজনা। আমাদের বাড়িতে সংগীতের পরিবেশ ছিল। বাবা কীর্তন
করতেন, এখনও করেন। ছোট ভাই কীর্তন করে। বাড়িতে ঢোল, খোল, মন্দিরা বাদ্য
যন্ত্র ছিল! WN দেখে এসে ঢোলে সেই বাজনা চর্চার চেষ্টা থেকে ক্রমে ক্রমে ঢোল
বাজনা আয়ত্তে আসে। একইভাবে খোল বাজানো'তে Alea ধীরে আকৃষ্ট হই এবং
গ্রামে কীর্তনের দলে খোল বাদক হিসেবে পরিচিতি আসে। তবে এই গান বাজনা
নিয়ে পুরোপুরি মেতে থাকার উপায় ছিল না। অবশ্যই অভিভাবকদের চোখ এড়িয়ে.
শাসনের কড়া বাঁধনের মধ্যে গান বাজনায় অংশ নেওয়া, পালাগান শোনা ইত্যাদির
আকর্ষণ ও মজাই ছিল আলাদা। অন্যদিকে কৃষি কার্যের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন কাজ--হাল ore, ধান-পাট নিড্বানো,
ধান-পাট কাটা ইত্যাদিতে অংশ নেওয়ার সুযোগে সহকর্মীদের সাথে কাজের ফাঁকে
ফাঁকে বিষহরা দোতোরা কুশানের ধুয়া গাওয়া ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার i বর্ষাকালে
রিম ঝিম বৃষ্টিতে হাল চালাতে ঢালাতে হয়ত কেউ গান ধরল--“দ্যাওয়ায় কইরছে
ম্যাঘ ম্যাথালি তলাইল পুবাল Pa” সঙ্গে সঙ্গে তার সাথী হালুয়া (হাল চালক) গলা
মিলিয়ে গান শুরু করল। এভাবেই গানের তালিম শুরু। সঙন্ধ্যাকালীন কীর্তন,
কৃষিকাজের ফাঁকে ফাঁকে বা অবসরে ধুয়া গান (যা ভাওয়াইয়া Bow নামে পরিচিত)
চর্চা গ্রামের আর পাঁচজন যুবকের মতো আমার কাছেও ছিল অতি সহজ স্বাভাবিক
ব্যাপার। জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ে এই প্রাথমিক বাহিরানা শিক্ষা কাজে লাগিয়ে
ভাওয়াইয়া চট্কার চর্চার দিকে ঝুঁকে পড়ি। প্রামের বিভিন্ন উৎসব মেলার মধ্যে একটি ছিল বাঁশ পূজা এবং সেই উপলক্ষে
কান্দেব (কামদেব) মাগনের নাচ গান, বাঁশের 'থলা য় অনুষ্ঠিত জাগ গান ও কান্দেবের
গান। বাশের “RN হল কোনও মাঠ যেখানে গ্রামের সব বাড়ি থেকে পূজা করা বাঁশ
নিয়ে এসে যৌথভাবে পূজা করা VAS গান AL এখানেই চলে জাগ গান। এই
জাগ গান আমার শৈশবকালেই অর্থাৎ পঞ্চাশের দশকেই একটি sys অনুষ্ঠান
হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেছিল। যাহোক দু'একটি অনুষ্ঠান দেখার
সুযোগ হয়েছিল। আমাদের বাড়ির দুই মাইল দূরে একটি মরা নদীর ধারে উন্মুক্ত
মাঠ “সেবার FIPS এই ‘AN’ বসত। এই “থলাতে কান্দেবের নাচ গান, বাঁশ হাতে
নিয়ে বিভিন্ন দলের নাচ গান দেখেছি। কিন্তু জাগ গান শুনতে পাইনি। কারণ এই
বয়সের কোনও ছেলেকে অভিভাবকরা জাগ গান শুনতে দেবে না। এই জাগ গান
ও বাঁশের “থলা' এখন প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বর্তমানে সারা কোচবিহার জেলায় ১৮