For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)হেমস্ত দেববর্মাকে সম্পাদক এবং অঘোর দেববর্মাকে কার্যকরী সম্পাদক করে একটি
কার্যকরী সমিতি গঠিত হল। হরিনাথ, শশাঙ্ক, হরিচরণ, যোগেন্দ্র, রমেশ এবং আরো
অনেককে সদস্য করে একটি কার্যকরী কমিটি গঠিত হল। আমিও কার্যকরী কমিটির.
সদস্য হিসেবে রইলাম। ঠিক হলো আপাতত দুর্গা চৌধুরী পাড়ায় সমিতির অফিস থাকবে তবে বোর্ডিংয়ে
থেকেই অঘোর ও অন্যান্যরা সমিতির কাজ চালিয়ে যাবে। আমি ও অঘোর তখন ক্লাশ
নাইনের পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের জন্য অপেক্ষমান ছিলাম। সে-সময়টাতেই বীরেন দত্ত প্রায় প্রতিদিন বোর্ডিংয়ে এসে আমাদের সঙ্গে মার্কস
এঙ্গেলস-এর দ্বাদ্দ্বিক বস্তুবাদ নিয়ে আলাপ আলোচনা করতেন | গ্রাম পাহাড়ের এবং
সমতলের খেটে খাওয়া মানুষদের এককাট্রা করে বিপ্লবের বীজ বোনার প্রচেষ্টা চলতে
লাগলো | ATH পত্রিকা আর কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের লেখা নানা প্রবন্ধ, বুকলেট,
লিফলেট পড়তে শুরু করলাম। তখনি বীরেনদা আমাকে সম্পাদক ত্রিপুরেন্ঞ গাঙ্গুলিকে কোষাধ্যক্ষ এবং অপূর্ব
রায়কে মেম্বার করে গোপনে একটি ছাত্র ফেডারেশন সেল তৈরি করলেন। ছাত্র কংগ্রেসের
সহ-সভাপতি কালা মিঞ্াকে অনেক বুঝিয়ে, বলা চলে পটিয়ে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি
পদে JS করা হয়। এই কাজের জন্য বীরেনদা আমাকে দায়-দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রিয়দাস .
DADS নেতৃত্বে তখন আমাদের ছাত্র কংগ্রেসে নেয়ার জন্য টানাটানি চলছিল। যখন ক্লাশ টেনে পড়ি তখন একবার কুমিল্লায় গিয়ে আমারা সারা ভারতের
কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক পি সি যোশীর সঙ্গে দেখা করে আলাপ পরিচয় করে এলাম।
কুমিল্লা জেলার সম্পাদক অপূর্বকাঞ্চন দত্ত রায় এবং ভানু ঘোষদের সঙ্গেও তখন পরিচয়
হলো। সেসময় গোপাল হালদার আগরতলায় এসেছিলেন | “ত্রিপুরায় সংস্কৃতির রূপাস্তর'
বলে আমার লেখা একটি প্রবন্ধ পাঠ করে তিনি খুব প্রশংসা করেছিলেন। ইতিমধ্যে আমরা জনশিক্ষা সমিতির সদস্যরা এক একটি এলাকা ভাগ করে নিয়ে
গ্রামে গিয়ে মিটিং করে ক্রমশ গীয়ে-গঞ্জে স্কুলঘর তৈরি করে মাস্টার নিযুক্ত করে রাজার
দরবারে হাজির হতাম। এ বিষয়ে নিয়ম ঠিক হয়েছিল স্থানীয় জনসাধারণ স্কুল প্রতিষ্ঠা
করে শিক্ষক নিযুক্ত করে শিক্ষা বিভাগে প্রার্থনা করলে মহারাজ সেই স্কুলকে সরকারী
MPS দেবেন | এভাবেই স্কুলগুলি স্বীকৃতি পাচ্ছিল। তখন শিক্ষকদের বেতন ১০/১৫
টাকার মত ছিল। এসব স্কুলে স্বীকৃতি আদায়ের ব্যাপারে তদানীন্তন শিক্ষামন্ত্রী ডি. এ.
ডব্লিউ ব্রাউন সাহেবের উপস্থিতি খুব সহায়ক হয়েছিল। এই ব্রাউন সাহেঘ্ন ছিলেন ফার্স্ট
ত্রিপুরা রাইফেলসের কম্যান্ডেন্ট। যুদ্ধ শেষে তিনি রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িদ্ম গ্রহণ করেন।
বর্তমান দুই নম্বর এম এল এ হোস্টেল তারই নির্দেশনয়া তৈরি হয়, সেখানেই তিনি বাস ১৪