উদ্বোধন [বর্ষ-১০১] | Udbodhan [Yr. 101]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
'কথামৃতে' না-বলা স্বামীজী-প্রসঙ্গ SSS কত জানতেন-_গান, বাজনা, কুস্তি, বিভিন্ন ক (ta, বিভিন্ন orn, বক্তৃতা, ars, আর্ট, সাহিত্য, ADT ও পাশ্চাত্য দর্শন, রন্ধন প্রভৃতি কত কি! বেদে আছে নানা বিদ্যার নাম। নারদ সব বিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন-_ দেববিদ্যা, গন্ধর্ববিদ্যা, ভূতত্তব, Tou, উদ্ভিদতত্ত কত কি! স্বামীজী সর্ববিদ্যাসম্পন্ন ছিলেন | তার কোনটাই নষ্ট হয়নি, সব কাজে লেগেছে। আহা, ওঁর শরীরটা আরো থাকত কিছুকাল, যদি কেউ ধরে নিয়ে যেত rest (বিশ্রামের)-এর জন্য হিমালয়ে, আমেরিকা থেকে আসার পর! কত বকুনি, আর কি খাটুনি--অবিরত--বিরাম নেই। অতিরিক্ত খেটে খেটে শরীর গেল। (১ম ভাগ, পৃঃ ২৬) স্বামীজী যখন রোগে কষ্ট পাচ্ছিলেন তখন বলেছিলেন ঃ “আমি কি রোগ বা মৃত্যুকে ডরাই! আমি যে ঠাকুরের পা ছুঁয়েছি। কি ভয় আমার?” (2, পৃঃ ৭৫) স্বামীজীকে পেয়ে ম্যাক্সমূলার কত GAH, কত আদর করলেন BCS | আর কি মহৎ--সাউদাম্পটন লন্ডন স্টেশনে বুি স্বামীজীর মাথার ওপর ছাতা খুলে ধরলেন। তিনি আপত্তি করলে বললেন ৪ “It is not everyday that the son of Sri Ramakrishna can be seen.” (শ্রীরামকৃষ্ণের সম্ভানকে রোজ দেখতে পাওয়া যায় না।”) দেখ, কি উদার হৃদয়, কি গভীর VIPS! অত বড় মানী পণ্ডিত, আর এঁ রাজসিক দেশে ora, কিন্তু কি নিরভিমান! এ সবই মহাপুরুষের লক্ষণ।... কেশব সেনকে ম্যাক্সমমূলার watch (পর্যবেক্ষণ) করতেন। ঠাকুরের সঙ্গে মিলনের পর কেশববাবুর অনেক পরিবর্তন হয়েছিল। ম্যাক্সমূলার এটা notice (লক্ষ্য) করেছিলেন। কিন্তু কি করে পরিবর্তন হলো তখনো তিনি ভাল করে বুঝতে পারেননি। তারপর যখন স্বামীজীর সঙ্গে মিলন হলো আর ঠাকুরের সব কথা শুনলেন, তখন বুঝতে পেরেছিলেন। শেষে ঠাকুরের জীবনচরিত লিখলেন। (এ, পৃঃ ৩১৫-৩১৬) ২ আমেরিকাতে স্বামীজীর কি কম কষ্ট গেছে! আহার নেই, বাসস্থান নেই, বস্ত্র নেই--শীত সম্মুখে। কেউ জানাও নেই, আবার পকেট শূন্য। সীতাপতিকে CAN রাঘবানন্দ) বলে দিয়েছি--শ্বামীজীর সময়কার Ga ফেন্ডস যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কে কে আছে দেখো আর আলাপ করো | ওরা আমাদের অতি প্রিয়। বরাবর watch লক্ষ্য) করেছি কিনা Siw | বস্টন, নিউ ইয়র্ক, লস আযাঞ্জেলস, স্যান ফ্রালিস্কো, শিকাগো প্রভৃতি স্থানে তারা ছিলেন। কত সেবা করেছেন স্বামীজীর! তাই তারা আমাদের পরম আত্মীয় | আমেরিকার থাউজ্যান্ড আইল্যান্ডস পার্কে কেউ কেউ তাকে দর্শন করতে গিয়েছিল। তারা বলেছিল ঃ “We have come to you with the same regards with which we would have gone to Christ if He would be living today.” (“As আজ জীবিত থাকলে তার কাছে যে-শ্রদ্ধা নিয়ে যেতাম, সেই শ্রদ্ধা নিয়েই আপনার কাছে এসেছি।”) অর্থাৎ আপনিই আমাদের যীশু--“%০॥ are the Christ to us!” স্বামীজী আর আপত্তি করতে পারলেন না। কী গভীর শ্রদ্ধা!... - একসময়ে ভারতের লোক মনে করত, ইংরেজদের সবই ভাল। What Shakespeare says—CHBARTA কী বলছেন? মিল, জেমস-_এঁদের সব দোহাই পাড়ত। স্বামীজী সেটা ভেঙে দিয়েছেন। জেমসই বুঝি বলেছিলেন শেষে--11(6-এর problem solved (জীবনের সমস্যা সমাধান) করেছে একমাত্র বেদাত্ত, আর কেউ নয়। আহা! কি শক্তিশালী ভাষা স্বামীজীর! প্রাণসঞ্চার করে দেয় মৃত শরীরে! কার্লাইলের ভাষাও তার কাছে NG না। ভারতের দৃষ্টিশক্তিকে নিজের অতুল আধ্যাত্মিক acts firs আকৃষ্ট করে গেছেন স্বামীজী--এই স্বামীজীর অবদান। (OF ভাগ, পৃঃ ২০০-২০১) যেসব SPA স্বামীজীকে দর্শন করেছেন তারা ধন্য। তাকে যাঁরা ভালবেসেছেন, আদর করেছেন, শ্রদ্ধাভক্তি দেখিয়েছেন -_তারা আমাদের AAMT | আমরা তাঁদের নিকট খণবদ্ধ কেন! না, স্বামীজী আর ঠাকুর অভেদ। শুনেছি, ঠাকুর সর্বদা ছায়ার মতো স্বামীজীর সঙ্গে ছিলেন এ দেশে। এক-একবার স্বামীজী কর্মক্রাপ্ত ২য়ে যেই সমাধিস্থ হতে চেষ্টা করেছেন অমনি ঠাকুর এসে সম্মুখে দাড়িয়ে রইলেন। মানে, তাকে সমাধিস্থ হতে দিলে কে তার নাম প্রচার করবে? আর নাম প্রচার না হলে ভক্তদের শাস্তিলাভ হয় কি করে? স্বামীজীর এইসব কাজ একটা master plan (বৃহৎ পরিকল্পনা)-এর অঙ্গ। ঠাকুর অবতার কিনা! তার ভাবনা জগতের জন্য--পাশ্চাত্য জগতের জন্য বিশেষ Bra কারণ, তারা বিজ্ঞানের সহায়ে জাগতিক বিষয়ে খুব অগ্রসর হয়ে cara al ভগবানকে ভুলে যাচ্ছে। তাই তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে ভগবানের কাছে। এই কাজে স্বামীজীকে লাগিয়েছেন। আহা! কি ভালবাসা এদের স্বামীজীর ওপর | আনেকে দেশ, আত্মীয়-কুটুম্ব, MAYA ছেড়েছে। স্ত্রী-পুরুষ ভক্তগণ কতভাবে ভালবেসেছে। অজ্ঞাতকুলশীল স্বামীজী, কিন্তু ঠাকুর তাদের



Leave a Comment