For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)আছে fora) সেগুলো মিনি আর হিরণ পায় ওর কাছ থেকে-_এও একটা
মস্ত ANS | | | রমলা অবশ্য খুবই বিরক্ত হয়, কিন্তু উপায় নেই। ছেলেমেয়েদের দিদি-
অস্ত প্রাণ। তারা সুবিধে পেলেই চলে যায় চিনির কাছে। তাতে রমলার একটা
মস্ত সুবিধা ছেলেমেয়েদের ঝগ্ধজাট তার কম হয়। ওপরের চিলে-কোঠার সংলগ্ন ঘরখানা এবং তৎসংলগ্ন ছাদটি চিনির
থাকবার এবং বেড়াবার জায়গা। সঙ্গী মাত্র মিনি আর ay) তাই ওদের
খুবই ভালো লাগে তার। আর মিনি হিরণও দিদির কাছ-ছাড়া হতে চায় না,
গল্প এবং খেলনার লোভে | বাবা অফিস থেকে ফিরে সর্বাগ্রে চিনির খবর নেবেন, এ তো স্বতঃসিদ্ধ।
কোনওদিন এর ব্যতিক্রম হয় না। রমলার খুবই খারাপ লাগে সর্বাগ্রে চিনির
খবর নিতে যাওয়া। অনুযোগের অস্ত থাকে না, কিন্তু বিমল গ্রাহ্য করে না।
সে নিঃশব্দে তার কর্তব্য হিসাবেই এটা করে যায়। তার মনে হয়, ছোট্ট শিশু
চিনিকে সে কন্যাঙ্নেহে রাখবার প্রতিশ্রুতি দিয়েই এনেছিল একদিন। সে
কর্তব্য সর্বাবস্থাতেই মেনে চলতে হবে তাকে। চিনি পড়ছে। বুদ্ধি তার প্রখর। পাশ করে চলেছে বারবার। গানও শিখছে
ভালোই। বিমল ওকে একটা ভালো চাকরি জুটিয়ে দেবে, এই তার ইচ্ছে। প্রফেসারি চাকরি হলেই ভালো হয়। তাই এম. এ. পরীক্ষার আগে বিমল
তাক সাবধান করে দিল, সে যেন ভালোভাবে পাশ করতে পারে। ফাষ্ট ক্লাস
পেলে খুবই ভালো হয়। তাহলে Aca পাওয়া সহজ হবে! সেইজন্য
বিমল দু'জন নাম করা প্রফেসর রেখে দিল চিনিকে পড়াবার জন্যে মোটা
মাইনে কবুল করে। এই ব্যাপার দেখে রমলা অত্যন্ত Ha হলো। মুখখানা
বিকৃত করে বললো, -__নিজের ছেলেমেয়ের জন্যে একটা বুড়ো পণ্ডিত, আর কোথাকার কে
তার জন্যে তিনশ” টাকা মাইনের প্রফেসর! লজ্জাও করে না! | লজ্জা তোমারই পাওয়া উচিত রমলা। তুমি এতটা নীচ আমি জানতাম না। কিন্তু শোন, তোমার ছেলেমেয়ের ধনসম্পত্তির অংশ চিনি নেবে না। শুধু
তাকে আমি একটু ভালোভাবে মানুষ করে দিতে চাই, যাতে সে তার ভবিষ্যৎ
জীবনে কষ্ট না পায়। এটুকুও তুমি সহা করবে না। ১২০.