উত্তরপূর্বের নির্বাচিত বাংলা গল্প [সংস্করণ-১] | Uttarpurber Nirbachita Bangla Galpo [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আছে। এই যে আমরা ট্রান্সফার পোস্টিং ডি এ বাড়ানো নিয়ে কেবল ব্যস্ত থাকছি, শ্রমিকদের পোলিটিক্যালি এডুকেট করার যে মূল উদ্দেশ্য আমাদের ট্রেড ইউনিয়ন করার পেছনে রয়েছে, সেটাই কি আমরা ভূলে থাকছি না? ভাগ্যিস অনস্ত সেদিন মদ খায় নি, নির্ঘাৎ সেই রাত্রে রাস্তার ওপরেই কেঁদে ফেলত! ৩, অনেকখানি পথ দৌড়ে এসেছে সঞ্জীব, হাপাচ্ছিল। Swe হাপাতেই বলল-- সর্বনাশ হয়েছে, Barz ডি এস পি fara পুলিশ ফৌজ নিয়ে এসেছে নবীন নগরে রেল লাইনের পাশে রেফুজি ঝুপড়িগুলো উচ্ছেদ করার জন্য। ছেলেবুড়ে৷ সবাইকে লাঠিযেছে। বস্তির মেয়েরা বহুত কান্নাকাটি করছে। অনন্ত কলেজ ফেরতা দাসদার দোকানে চায়ে সবেমাত্র প্রথম চুমুক দিয়েছিল, লাফিয়ে উঠল। গভর্মেন্ট বহুদিন ধবেই চেষ্টা করে যাচ্ছে, ইনজাংশন-ফাংশন আনিয়ে এতোদিন কোনমতে আটকে রাখা গিয়েছিল। এখন গত মার্চে ভোটে আবার জিতে এসেই নতুন করে বদমাইশি শুরু করেছে। সে টেবিলেব দিকে তাকিয়ে বলল চল, তোরাও যাবি তো? রঞ্জন বলল-- বড়দা তো নেই, একটু ওয়েট করে গেলে হয না। বড়দা মানে colle ধর, তাদের লোকাল কমিটি সেক্রেটারি। অনন্ত বলল -_শালা ত্রিবেদী তো তোর জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকবে, গেলে বসিয়ে চা বিস্কুট খাওয়াবে ! চল চল, বড়দা খবর পেলে স্পটে চলে যাবে। ওরা পাঁচজনই গেল। একটা স্কুটার ছিল, দুটো সাইকেল। ওরা যখন জায়গায় পৌঁছল, ত্রিবেদী ততোক্ষণে প্রায় আধখানা কাজ সেরে এনেছে। রেললাইনের পাশে নিচু জমিটায ছুঁড়ে ফেলা ঘরোযা জিনিষপত্রে টাল হয়ে আছে। জিনিযষপত্র মানে আর কি, কটা a কাঠের খাট আব টেবিল, কিছু মোড়া, হাঁড়ি কুড়ি, কেরোসিনের বোতল, টিনের তোবড়ানো ট্রাঙ্ক এইসব। কয়েকটা কালী আর রামকৃষ্ণের বাঁধানো ফটোও ঘাসজমিতে গড়াচ্ছিল। অনন্তের মাথার ভেতবে টং করে উঠল। হারামি পুলিশ। মেয়ে আর বাচ্চাদের কান্নাকাটিতে কান পাতা যাচ্ছিল না। মরদণ্ডলো একদিকে জটলা বেঁধে থাকা জনতাকে উদ্দেশ করে বলল-ভাইসব চুপ করে দাঁড়িয়ে আছো কেন? তোমাদের ঘবদোর ভাঙছে, তোমরা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছো? জনতার ভেতর মৃদু গুঞ্জন উঠল। ছেড়া লুঙ্গি পরা মধ্যবয়স্ক একটা লোক জনতার মধ্য থেকে বলল-কি করমু কন, আমাগো দশড়ারে ভ্যানে উঠাইয়া নিয়া গেল। বেঁটে খাটো একটা লোক খ্যানখেনে গলায় বলল- পুলিশ খালি ডাগ্ডা দিয়া পিটাইলে কথা আছিল। জেলে ভর্যা দিলে আমাগো বউ বাচ্চাগুলার কি অইব? জয়নাল বিবি অনন্তের পায়ে কেঁদে পড়ল। আমার ঘর পোড়্্রারমুখাগুলি ভাঙ্যা ফালাইতাছে। পোলাপানগুলারে নিযা অখন আমি কই wy) আপনে কন এই পুলিশগুলারে! জয়নালের স্বামী বউকে তালাক দিয়ে অন্য বিবি নিয়ে শহরের আরেক প্রান্তে থাকে, জয়নালের পাঁচ অপোগগু ছেলেমেয়ে। জয়নাল বাবুদের বাড়ি বাড়ি ঠিকে ঝি-এর কাজ করে পেট চালায়। অনস্ত দৌড়ে গেল জয়নালের ঘরের দিকে। একটা পুলিশ ঘরের হাঁড়ি আর সানকি হাতে তুলেছিল ছুঁড়ে ফেলার জন্যে, অনন্ত ১৮



Leave a Comment