For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)দেরিতে হলেও বিয়েটা তিনি করেন। যমুনা তার থেকে বছর পনেরোর ছোট। যমুনা
তাঁকে কোনও সম্ভান দিতে পারেনি, নাকি তিনিই পারেননি, এ ব্যাপারে একটা TH থেকে
গেছে। বড় ডাক্তার-বদ্যি এখনও তেমন দেখানো হয়নি। অবিনাশদা বারকয়েক বলেছে,
কলকাতায় আয়, আমি ভাল ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা করে দেব। সে আর হয়ে ওঠেনি। আসলে মৃগাঙ্কর কেন জানি মনে হয়, উনিশশো চুয়াল্লিশে লাগা
গুলিটা তার বীর্য বিষিয়ে দিয়েছে। চিনি মিলের এক বড়কর্তার কোয়ার্টারের আউট হাউসে থাকেন মৃগান্ক। নিয়ম
অনুযায়ী এটা তার প্রাপ্য নয়। পৈতৃক বাড়ি কাছেই, তাজপুর রোডে। তবু বড়কর্তাটির
অনুগ্রহে থাকার জায়গাটি পেয়েছেন! ব্রাহ্মণ সম্ভান হওয়ার সুবাদে এই খাতির। বিহারে
এ ব্যাপারটা বেশ মান্য করা হয়। নিজের বাড়িতে না থাকতে পারার কারণ Pore স্বয়ং। তাকে নিয়ে বড়ই ব্যতিব্যস্ত
থাকত ভাই, ভাইবউ। ভাই শশাঙ্ক হাইস্কুলে মাস্টারি Bea সমাজে তার একটা
মানসম্মান আছে। মাতাল, খামখেয়ালি, ল্যাংড়া দাদাকে সে আর কতদিন সামলাবে।
শশাঙ্ক প্রায়ই মেজাজ হারিয়ে ছোটবড় কথা বলে ফেলত, নিজেরই তো ভাই, গায়ে
মাখতেন না HAS] যমুনা পরের বাড়ির মেয়ে, আড়ালে চোখের জল ফেলত। সেটাই
সহ্য করতে না পেরে মৃগাঙ্ক বড়বাবুকে এসে ধরেন, মেহেরবানি PACH এক কোয়ার্টারকা
বন্দবস্ত কর দিজিয়ে। মেরা ছোটাভাই ঘর পে রহনে নেহি দেতা। ইতনা পরেসান... সব শুনে বড়কর্তা দীনেশ যাদব তার কোয়ার্টারের পিছনেই ব্যবস্থা করে দেন।
তাতেও ছোট ভাই কথা শোনাতে ছাড়েনি। বলেছে, ওইসব মেনিয়াল আউট হাউসে
জমাদার থাকে। কদিন পর দেখো তোমাকে দিয়ে সাফাইয়ের কাজ করাবে। কোনওদিনই করাননি মিস্টার যাদব। বরং PHS যখন নেশা ছাড়া স্বাভাবিক থাকেন,
যাদব সাহেব হনুমান চালিসা পড়তে ডাকেন মৃগাঙ্ককে। ময়লা পরিষ্কারের কাজটা সম্ভবত
আজই প্রথম করছেন PAT! এই শিশুটি কার কে জানে! কে যে ফেলে দিয়ে গেল? কোয়ার্টারের মূল ফটক ছাড়াও বাড়ির পিছনের দিকে একটা ছোট লোহার গেট
আছে। ওটা দিয়েই যাতায়াত করেন মৃগাঙ্ক। শিশু কোলে গেটের কাছে এসে দাড়াতে,
কুকুরের দলও থেমে গেল। মৃগাঙ্ক পিছন ফিরে রাস্তাটা দেখলেন, কেউ কি মিলিয়ে গেল
অন্ধকারে? আরও একবার খুঁটিয়ে দেখলেন, না, মনে হচ্ছে বিভ্রম। অবলা কুকুরগুলো
ছাড়া আর কোনও সাক্ষী রইল না। তা হলে! বাগানের পাশ দিয়ে ইট পাতা রাস্তা ধরে
এগিয়ে যান মৃগাঙ্ক। নিজের বাড়ির টিমটিমে আলো দেখা যাচ্ছে। যমুনা এ সময়টা রুটি
বানায়। মাতাল স্বামীর পাতে গরম গরম WH দেবে। বারান্দায় উঠে মাল পাচারকারীর মতো চাপা স্বরে PATS ডাকেন, যমুনা! যমুনা! কণ্ঠে এতটুকু জড়তা নেই। কেমন যেন অচেনা লাগে গলাটা। ফুলে ঢোল হয়ে ওঠা
রুটিটা চিমটে দিয়ে উনুন থেকে নামিয়ে আর একটা ডাকের অপেক্ষা করেন যমুনা। এই
আউট হাউসের ওপর তার কোনও বিশ্বাস নেই, তেনাদের ফিসফিসানি, খরো পায়ে
DARIO প্রায়ই শোনা যায়। এক্ষুনি শোনা ডাকটা নিশির হতে পারে। q