বারোজন পদার্থবিজ্ঞানী | Barojan Padarthabijnani

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
16 বারোজন পদার্থবিজ্ঞানী জন্মগ্রহণ করেন | তিনি হেরমান [Hermann] | প্রথম বিশ্বযুদ্ধে 1916 সালে মারা যান তার প্রথম বিবাহের কনিষ্ঠ সম্ভান কার্ল | তার দুই মেয়েই সম্ভানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। 1917 সালে মারা যান মার্গারেট এবং 1919 সালে মারা গেলেন ATS | আরউইনই প্ল্যাঙ্কের বৃদ্ধ বয়সের সবচেয়ে বড় বন্ধু ছিলেন। আরউইন কিন্তু মারা যান এক ভয়ংকর ঘটনায়। সে ঘটনার কথা একটু পরেই বলছি। প্ল্যাঙ্ক সবসময় প্রশাসনিক দায়িত্ব নিতে ভালবাসতেন। এই সব দায়িত্ব তিনি নিতেন তার গবেষণা কাজের সঙ্গেই। 1912 সাল থেকে 1943 সাল অবধি প্রায় 32 বছর ধরে তিনি শগ্রশিয়ার' বিজ্ঞান আ্যাকাডেমির [Prussian Academy of Sciences] অঙ্ক এবং প্রকৃতি বিজ্ঞান বিভাগের সচিব ছিলেন। 1894 সালেই তিনি ওই আ্যাকাডেমির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি Genrman Physical 3০০19 -র সদস্য এবং কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। 1905 সাল থেকে 1908 সাল এবং 1915 সাল থেকে 1916 সাল অবধি তিনি ওই সোসাইটির চেয়ারম্যান ছিলেন | 1927 সালে তিনি আবার ওই সোসাইটির সম্মানীয় সদস্য নির্বাচিত হন। এর দু'বছর পরে ওই সোসাইটি প্ল্যাঙ্কের নামে 'ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক পদক” [Max Planck Medal] দেওয়া শুরু BA! প্রথম বার পদক দেওয়া হয় প্ল্যাঙ্ককেই। তিনি আবারো ওই সোসাইটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন 1930 সালে এবং 1937 সাল অবধি তিনি ওই পদে আসীন ছিলেন। এই সোসাইটির নতুন নামকরণ করা হয় 'ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক সোসাইটি” [Max Planck Society] | 1937 সালে ওই প্রেসিডেন্ট পদ তিনি ছেড়ে দেন ন্যাৎসীদের [Nazis] উৎপাতে এই সময় আ্যাকাডেমি ও সোসাইটিগুলিতে রাজনীতি ঢুকে পড়তে থাকে। প্ল্যাঙ্ক এগুলিতে রাজনীতির অনুপ্রবেশের বিরোধী ছিলেন। কিন্তু তিনি বহু চেষ্টা করেও এই ধরনের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারেন নি। ম্যাক্স als সোসাইটিরও রদবদল করা হয় রাজনীতির লোকদের পরিচালন ব্যবস্থায় প্রবেশ করানোর জন্য | এরই প্রতিবাদে প্ল্যান 1937 সালে ওই সোসাইটির প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দেন। বার্লিনকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন ars | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অতি দুর্দিনেও তিনি বার্লিন ছেড়ে অন্যত্র যাননি। কিন্তু এই বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে তিনি বার্লিন ছাড়তে বাধ্য হন। 1943 সালে তিনি বার্লিন ছেড়ে ম্যাগডেবার্গ-এর [Magdeburg] কাছাকাছি রোগাৎজ- তে [Rogatz] চলে AA | 1944 সালের ফেব্রুয়ারীতে তার বার্লিনের বাড়িটি বোমার আগুনে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে AA | সব হারিয়ে HHS খুব দুরবস্থায় পড়েন । আঁর্থিক ক্ষতির থেকে সবচেয়ে অপূরণীয় যে ক্ষতি হয়, তা শুধু তার নিজস্ব ক্ষতি নয়, বিজ্ঞান জগতের ক্ষতি তার বাড়ি পুড়ে যাওয়ার সময় তার গবেষণা সংক্রান্ত সব কাগজপত্রই ছাই হয়ে যায়। এই ক্ষতি ছিল তার কাছে মর্মান্তিক | বিজ্ঞান জগতের কাছে ভয়ংকর । এর চেয়েও ভয়ংকর ক্ষতির সম্মুখীন তিনি হন ওই বিশ্বযুদ্ধের জেরে। 1944 সালের 20 শে জুলাই হিটলারকে গুপ্ত হত্যা করার একটা চক্রান্ত ফাস হয়ে BA | হিটলারের গেস্টাপো [Gestapo] বাহিনী প্ল্যাক্কের পুত্র আরউইন এর সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করে। 1945 সালের প্রথমের দিকে গেস্টাপোরা আরউইনকে হত্যা BA |



Leave a Comment