For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)এক কাত্িকের আকাশ। আকাশের মাঝখানে মাঝে: মাঝে ছেঁড়া
পেঁজা তুলোর মত একটু-আধটু মেঘ। তা ছাড়া সবটুকু আকাশই
গাঢ় রীল । কেবল চরনিউটনের ওপরে আকাশের নিচেকার প্রায় সব
দক্ষিণ-পশ্চিম অংশটা জুড়ে সাদায় ধূপছায়ায় জড়ান বিরাট পাহাড়
মতন এক বিশাল cay তার pula দিকটা যেন একটা প্রাগৈ-
তিহাসিক প্রাণী। হা করে আছে। পড়ন্ত বেলার স্মর্য দেখতে দেখতে
তারই গ্রামের মধ্যে লুপ্ত হয়ে গেল। আর সে মেঘের নিচে চর-
নিউটনের রঙ, মুছে গিয়ে তার সবুজ অরণ্য ধুর হতে হতে কালে হয়ে
উঠতে লাগল। শুলুকের সারেঙ ডেকে দীাড়িয়ে। তার হাতে ছোট্ট একটা দুরবীন।
দূরবীনটার সঙ্গে বাধা পাটের সরু দড়িটা সারেডের গলায় পরান।
হাতের দূরবীলটা চোখ থেকে নামিয়ে ভুরু Foam মারেঙ।
দূরবীনটাকে ঝপ. করে ছেড়ে দিল শেষে। বঁ হাতটা গায়ের নীল
কোর্তার বা দিকের বুক পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে টেনে বার করল ঘড়িটা |
পড়পড় করে উঠল পকেট। কোণ থেকে থানিকটা বুঝি ছিঁড়েই
গেল। কিন্তু ভুরুক্ষেপ নেই সারেঙের। ঘড়ি বার করে চোখ বেঁকে
গেল তার্। রীতিমত বিরক্ত হয়েছে সে। হালের থেকে সুখানি কি
জিজ্ঞেস করবে ভেবেছিল। তার মুখ-চোখের ভাব দেখে থেমে গেল ।
আবার দূরবীন তুলল সারেঙ। ডাঙার দিকে তাক করল। চর-
নিউটন এগিয়ে আসছে । তার গায়ে আহত ঢেউয়ের মাথায় মাথায়
সাদা ফেনার সুদীর্ঘ রেখা। যেন শাখের বালার মত তাকে ঘিরে
রয়েছে। কিন্তু ফাঁড়ি কই। ঢেউ আর হাওয়ার থেকে আড়াল করে
নিরাপদে নোঙর ফেলবার মত একটা আশ্রয় চাই কাছেপিঠে। ঘড়ির
হিসাবে কাঙিকের স্র্যের অস্ত যেতে এখনও প্রায় ঘণ্টাটাক বাকি। ১৩