ভ্ৰমণ-বৃত্তান্ত [খণ্ড-১] | Bhraman-Brittanta [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সাঁগরসঙ্গীম ও চাঁদবালী । qed জন্য ?--না আর কিছুর জন্য? যদি ধর্শ্যের জন্য হয়--সে মা দেবী । আর যদি না হয় ?--ভাবিতে পারা গেল না-_বড়ই ক্লেশ হইল | ভাবিতে ভাবিতে, কোলাহল শুনিতে শুনিতে, এত লোকের Se নিশ্বাস সহিতে সহিতে এবং খালাসী ও যাত্রীগণের গতায়াতের পদ্নধূলি aes বহিতে--সেই কষ্টের রজনী অবসান হইয়া আসিল । জাহাজের at তীব্র আওয়াজ ছাড়িল, আগুনে ধূম উঠিল ;--থালাসিগণ নোজ্য় তুলিল,-_অতি প্রত্যুষে জাহাজ কলিকাতা বন্দর ছাড়িল। ছাড়িবার একটু পূর্বেও জাহাজে যাত্রী উঠিল ৷ তখন ভাবিলাম, আমরা a, সমস্ত athe বৃথা কষ্ট ভোগ করিলাম, শেষ রাত্রে জাহাজে উঠিলেই বেশ হইত! জাহাজ চলিল ; গ্রামের পর গ্রাম, তারপর গ্রাম--সব ছাড়িয়! উদ্দাম বেগে, ভীম ata অনন্ত সাগরের উদ্দেশে ছুটিল। রজনীতে যাহারা আমাদের সহিত ঝগড়া করিয়াছিল, দিবসে চক্ষুলজ্জাবশতঃ তাহারা আমাদের সহিত আত্মীয়তা করিল, তাহারা বাঙ্গালী । আমাদের পৃশ্চাতে একটা fay স্থানী স্থান লইয়াছিল, সে রাত্রেই আমাদিগের প্রতি সত্ব্যবহার করিয়াছিল । শিয়রে দুইজন উৎকলবাসী লোক, তাহারও আপনার হইল। দেখিতে দেখিতে বেলা ১১টার সময় জাহাজ হীরকবন্দরে ( Diamond Harbour’) উপস্থিত হইল । নদী ক্রমেই পরিসর বৃদ্ধি করিতে লাগিল । আমরা wate aa চতুপ্দিক দেখিতে লাগিলাম। তীর ক্রমে ক্রমে দৃষ্টিপথ অতিক্রম করিল, কূল অকুলে fair) বেলা ছুই ঘটকার সময় আমরা কুল ত্যজিয়া অকুল বঙ্গোপসাগরের অগাধ নীল বারিরাশিতে ভাসিতে লাগিলাম। যাত্রীগণের উল্লাস'"বাড়িল বটে, কিন্তু সে কি জন্য, জানি না। উপরে অনস্ত আকাশ, নিয়ে অতল জল,-_কেবল শব্দ, কেবল গর্জন, চতুর্দিকে কেবল নীলজল, কেবল নীলজল! আমরা আর কখন সাগর দেখি নাই, আমরা সে দৃপ্ত দেখিয়| মোহিত হইলাম । সে দিন সমুদ্র fea ছিল, আমাদের দেখিবার বিশেষ সুবিধা হইল ৷ কিন্তু একটা দৃপ্ত আমাদের ভাগ্যে দেখা ঘটল না । শুনিয়াছিলাম, সাগরের উত্তাল তরঙ্গের আঘাতে জাহাজ যখন অস্থির হয়, তখন শত শত ব্যক্তি পা ঠিক রাখিতে না পারিয়া শয্যার আশ্রয় লয়, মাথা-: ঘুরণিতে অন্পপ্রাশনের অল্প পর্য্যস্ত উঠিয়া পড়ে। কিন্তু আমরা oT দৃপ্ত না লন * ইহার HITS ATA আরও কথা বলাঘাইবে।



Leave a Comment