For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ময়মনসিংহ সদরে 'হইচই পড়ে গিয়েছিলো। ময়মনসিংহ শহরে এবং
সম্ভবত জেলাতেও মোটরগাড়ি চাপা পড়ে সেটাই প্রথম মৃত্যু । মৃত্যুর
পরে পণ্ডিত- মশাইকে হাসপাতালে সাহেব ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট পর্যন্ত
শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন। সে কালে তো মাস্টারি চাকরিতে পেনশন, ডেথ পেনশন, গ্র্যাচুয়িটি
এসব কিছুই ছিলো না। প্রভিডেন্ট ফান্ডে সাড়ে তিনশো টাকা ছিলো।
ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব তার রিলিফ ফান্ড থেকে একশো টাকা দিয়েছিলেন।
সিটি কলেজজিয়েট স্কুলের ছাত্রেরা দুআনা-চার আনা টাদা দিয়ে আর
শিক্ষকেরা প্রত্যেকে এক টাকা করে দিয়ে দেড়শো টাকার মত তুলে
দিয়েছিলেন। মোটমাট এই ছয়শো টাকার মত তিনকড়ির বিধবা জননীর হাতে স্কুল
কর্তৃপক্ষ দিয়েছিলেন। সেকালের ছয়শো টাকা ছয় বিঘে জমির দাম। এই
নিয়ে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যথেষ্ট, হিংসের ভাব দেখা দিয়েছিলো।
কেউ কেউ এমনও বলেছিলো, বেঁচে থাকার (চেয়ে পণ্ডিতের মরে গিয়েই
দেখছি বেশি লাভ হলো। খুব কষ্টে-সৃষ্টে তিনকড়ি সান্যালের বাল্য এবং কৈশোর জীবন
কেটেছে। বাড়ির অবস্থা যে খুব খারাপ ছিলো তা নয়। প্রপিতামহের সূত্রে
এবং বাড়িতে টোল থাকার কারণে কয়েক বিঘে ব্রম্মোত্তর জমি ছিলো
গ্রামে। গ্রামের নাম সখিপুর। জেলা সদর থেকে পঁচিশ মাইল দূরে ডিস্ট্রিক্ট
বোর্ডের রাস্তার পাশে সাপাইল থানা। থানার অদূরেই সখিপুর বিরাট
গ্রাম। হেমনগরের জমিদারদের এলাকা। হেমনগরের জমিদারেরা তিনকড়ির প্রপিতামহকে সাত বিঘে জমি
TARGA করে দান করেছিলেন। নিষ্কর জমি খাজনা লাগে না, তবে
বিক্রিবাটায় অসুবিধে আছে। GE ACMA জমিটুকু ছাড়া এ সখিপুর গ্রামের প্রান্তেই অহল্যা নদীর
তীরে পণ্ডিতবাড়ির মানে তিনকড়ির পূর্বপুরুষদের কয়েক বিঘে নিজস্ব
জমি ছিলো। অহল্যা নদী কালব্রমে সে সব জমির অনেকটাই গ্রাস
করেছে। 20