প্রকৃতির সাজা [সংস্করণ-১] | Prakritir Saja [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৮ প্রতির সাজা মাঝে মাঝে কেশবদান ভাবে কালের প্রভাবে তারা কোথায় এসে পড়েছে। কোথায় চলেছে তারা? তার বাবা, ঠাকুরদা-রা চা পর্যন্ত খেতেন না, হাটুর ওপর ছাড়া হাটুর নিচে কোনদিন ঝুলিয়ে কাপড় পরেন নি। তারা ত কোনদিন ব্যবসার জন্যে এমনভাবে তাঁদের যা কিছু নিজস্ব তা বিসর্জন দেননি । এখন তারা যা করছে এটা কি ঠিক? এখন ফেরবারও কোন রাস্তা CARL যে দেশে পল্মিনী, তারাবাঈ, যুক্তার মত রমণীরা আদর্শের জন্যে প্রাণকে GH বলে গণ্য করেছে সেই সমাজেরই মেয়েরা তাদের স্রীরা আজ যে ভাবে এগিয়ে চলেছে এটা সমীচীন কিন] ? কেশবদাসের মনটা খারাপ হয়ে যায়। তার মনে কোথায় যেন একটা আঘাত লাগে। মাধবদাল ওসব কোন চিন্তাই করে না। তার মতে কালের চাকা সব সময়ে এগিয়ে চলেছে। সেই অগ্রগতেকে কেউ জোর করে ধরে রাখতে পারে না বা পিছিয়ে fers পারে না। প্রগতি কালকেই আশ্রয় করে এগিয়ে যায়। প্রগতি না থাকলে আজ মানুষ sag] ও ' মহেঞ্জোদড়োর যুগে বাস করত। সংযুক্ত, তারাবাঈয়ের সময় আর এখনকার সময় GSAT! কালের CANS গা ভাসিয়ে চলতে হবে। পেছনে ফিরে চাইবার সময় কোথায় ? সে কেশবদাসকে বোঝায় যে মানুষের ধর্মই হল অতীতকে আকড়ে রাখার প্রচেষ্ণী। চিরাচরিত প্রথা থেকে নস্তুনের দিকে সে সহজে যেতে চায় না। অজানা আশঙ্কায় । তাদের এ আশঙ্কার কোন কারণ নেই। তাদের ব্যবসা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশী ফুলে ফেঁপে বড় হয়েছে। ব্যবসায় তাদের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ব্যবসায়ী সঙ্ঘের Stal এখন প্রেসিডেণ্ট। দিনের পর দিন এখন তারা এগিয়ে চলেছে। তাদের বাড়ীর মেয়েরা এখন সমাজের আদশ স্থানীয়া। তাদের Bala ছেলেরা উচ্চশিক্ষা পাবার জন্যে বিদেশে যাচ্ছে। এখন কি আর সেই পুরাণ দ্বিলকে ফিরে পেয়ে লাভ আছে ? না কখনই না। কেশবদাস ও মাধবদাসের এখন আর এক দণ্ডও ফুরসৎ নেই । মাঝে মাঝে মনে হয় যদি চবিবশ্‌ ঘণ্টায় দিন না হয়ে যদি তিরিশ ঘণ্টায়



Leave a Comment