ছায়া পূর্বগামিনী | Chhaya Purbagamini

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তাহলে এয়ারপোর্টে যাওয়া হয়তো AA! অতীশ ওঠার চেষ্টা করল। পাশে বসা দেহাতি লোকটা বলে উঠল, 'আরে না না। এখন উঠবেন না-_-আপনার ট্রেন কখন?' “GH ।' 'অনেক দেরি আছে। এখন একটু আরাম করুন। আরাম! কিছু বলতে যাচ্ছিল অতীশ, কিন্তু ধীরে ধীরে সে বসে পড়ল। বসে চোখ বন্ধ করল। বেশ কিছুটা দূরে দুজন কনস্টেবল চারপাশে নজর বোলাতে বোলাতে আসছে। কি হবে এখন? ওরা যদি তাকে ধরে, তাহলে কালকেই কলকাতার সব কাগজে খবরটা বের হবে-_দিল্লির হোটেলে পার্টনারকে খুনের জন্যে বাঙালি গ্রেফতার! হয়তো ছবিও থাকবে৷ বনানী বা খুশী সেই খবর দেখে কি করবে? ভাবতেই শিউরে উঠল অতীশ । সে চোখ খুলল না। নিজেকে সেই হরিণের মত মনে হচ্ছিল (যে বিপদে পড়ে ঝোপের মধ্যে মুখ গুঁজে ভাবে নিরাপদ! AIS! ATL! ডাকটা কানে যেতেই ছড়মুড়িয়ে উঠে বসল অতীশ। সে কি ঘুমিয়ে পড়েছিল? চট করে ব্রিফকেস আর স্যুটকেসটাকে দেখে নিয়ে লোকটির দিকে তাকাল। লোকটির হাতে একটা বাটি। সেটা এগিয়ে ধরে বলল, 'আপনার একটু খেয়ে নেওয়া উচিত। পেটে কিছু গেলে শরীর ঠিক হয়ে যাবে।” অতীশের থেয়াল হল। সকালে প্লেনে যা খেয়েছিল, তারপর আর কিছুই পেটে যায়নি। এখন কোনওরকম থখিদে-বোধই নেই। শরীরে শুধুই অবসন্ন ভাব। দেহাতি মানুষটা আবার অনুরোধ করল। নিরাসক্ত ভঙ্গীতে বাটিটা নিল সে। কি এটা? থকথকে বস্তুটি যে WE তা বুঝতে একটু সময় লাগল। আজকাল বাড়িতে কেউ ছাতু খাওয়ার কথা ভাবতে পারে না। ছেলেবেলায় মা মাঝেমাঝে ছাতু মাখতো। ছাতু নিয়ে করা মায়ের সেইসব এক্সপেরিমেন্ট বেশ আগ্রহ তৈরি BAS | এখন কলকাতার ফ্ল্যাটে প্রচুর দামী খাবার ঢুকলেও ছাতু ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। এখন বাটি হাতে অতীশের মনে হল, খেলে মন্দ হয় না। কিন্তু লোকটা তাকে চামচ দেয়নি--হাতে যত রাজ্যের ময়লা, সে একটা আঙুল গামছায় মুছে নিয়ে তাই দিয়ে ছাতু তুলে মুখে দিল। নোনতা নোনতা স্বাদ। এমন কিছু আহামরি নয়। জীবনে দ্বিতীয়বার ঠিক এই জিনিস পেলে সে খাবে না। কিন্তু এখন মন্দ লাগছে না। একটু একটু করে অনেকখানি খেয়ে ফেলল সে। বাটি নামিয়ে রাখতে লোকটা অবশিষ্ট অংশ দেখে বলল, “ঠিক হ্যায়, যতটুকু ভাল লেগেছে ততটুকু খাওয়া উচিত। এই নিন জল।' এ্যালুমিনিয়ামের প্লাসে সে কি কখনও জল খেয়েছে? তবু সেটা গলা দিয়ে নামামাত্র চমৎকার তৃপ্তি হল। ছোট্ট pa উঠল। এবার লোকটি বলল, “ঠিক আছে, আবার শুয়ে AGA দেহাতি লোকটিকে এখন ঈশ্বরের মত মনে হচ্ছে। খালি পেটে খাবার পড়ায় শরীর আরাম চাইছে। অতীশ স্যুটকেসে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করল। আচ্ছা, এই লোকটা আগ বাড়িয়ে তাকে এমন যত্ন করছে কেন? মতলব কি ওর? গ্রামের মানুষ সরল হয়, একথা তো এখন গপ্পো হয়ে গেছে। তাহলে? লোকটা যদি শোনে সে আজ ১৬



Leave a Comment