For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৮ সম্প্রচারের ভাষা ও ভঙ্গি লেখেন। অতরকম কায়দার মধ্যে পড়ে কিন্তু লোকে দিশেহারা za কিন্তু
রাজশেখর বসু যে গদ্য ভাষা লিখতেন, তাকে যদি আমরা আদর্শ করে নিই,
আমার মনে হয় সেটাই বোধহয় সমস্যা নিরসনে সবচাইতে বেশি সহায়ক
হতে পারে। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে উচ্চারণ-দোষ বড়ো কানে লাগে। একটা চ্যানেলে
আমি ক্রমাগত শুনে যাচ্ছি 'আবোহাওয়া”। আবোহাওয়া হয় না। আব্ মানে
হচ্ছে জল। আবহাওয়া মানে হচ্ছে জলবায়ু । এই আব্কে কেন আবো করা৷
হয়? তাই যদি করা হয় তাহলে 'আবোগারি” বলা হয় না কেন? তখন আবার
আবগারিতে ফিরে যাওয়া হয় কেন? Wisin’ শব্দের উচ্চারণ করা হয়
'আহোবান”। আহোবান নয়। আ, VA VG, তার পর ইংরেজি W-F যে
উচ্চারণ তার সঙ্গে আ-কার, তারপর ন। এটাই উচ্চারণ হবে, ‘Tigi’ |
ওরফে শব্দের উচ্চারণ করা হয় “OTe” | দিনের পর দিন এই ভুল উচ্চারণ
করা হচ্ছে। 'কালীপদ ewe ন্যাটাকালি*-_ এভাবে বলা হয়। এবার আসি বাক্যের ব্যবহার সম্পর্কে | সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বড়ো বড়ো
বাক্য ব্যবহার না করে ভেঙে ছোটো করে নেওয়া উচিত। আরো একটা
কাজ করতে হয়, অনেক সময় অনুবাদ করে বলতে হয়। আমি যখন
নিউজে কাজ করতাম, মহাত্মা গান্ধি প্রার্থনা সভায় যে বক্তৃতা দিতেন তা
অনুবাদের দায়িত্ব ছিল আমার etd | আমি হিমসিম খেয়ে যেতাম। তার
কারণ, মহাত্মা গান্ধির ইংরেজি এমনি শুনতে খুব সহজ সরল। কিন্তু
আমার মনে হত, অনেক FAS BITING | আমার যে অর্থ মনে হচ্ছে তা
হয়তো নাও হতে পারে। ভয়ঙ্কর বিপদের কাজ ছিল ওই অনুবাদ। তখন
অমৃূল্যচন্দ্র সেন আমায় বলেছিলেন, আগে একটা ৪ণা1161166-এর মানে কী
তা বুঝে নাও | ওই ৪ণ611০6-টায় কী বলা হচ্ছে তা দেখে নাও। তারপর
নিজের মনে ভাবো যে এই বক্তব্যটা বাংলায় জানাতে হলে তুমি কীভাবে
জানাবে। তারপর সেটাই লেখো! বাংলা ভাষার একটা নিজস্ব বাগ্ধারা আছে। সব ভাষাতেই থাকে।
ইংরেজি বাগ্ধারাটা অনুসরণ করার দরকার নেই। ইংরেজি থেকে বাংলায়
যখন করা হচ্ছে তখন বাংলা বাগ্ধারার কথা ভাবতে হবে।