শান্তি পর্ব | Santiparba

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
স্বর্গের ব্রাহ্মণ কলোনিতে পুরুষাণুক্রমে মিশ বংশের সে সব আত্মা অপার শান্তিতে দিন কাটাচ্ছে, ঘুণাক্ষরে যদি তাঁরা কিরণের পেটের ভ্রণটার কথা টের পায়, একে- বারে শিউরে উঠবে | আপাতত স্বর্গবাসী পূর্বপুরুষদের অদৃপ্ত আতস্মাগুলির কথা আদে ভাবছে না কিরণ | এই পৃথিবীতে যারা চারপাশের গাছপালা প্রান্তর বা আকাশের মতোই প্রত্যক্ষ, তাদের মুখপুলি চোখের সামনে সারি সারি ফুটে উঠতে থাকে । মা, বাবা, ঠাকুমা, বশিষ্ঠনারায়ণ ইত্যাদি। নিশ্চয়ই মুক্টনাথ প্রভাকরের সঙ্গে তার সম্পর্ক এবং পরিণতি হিসেবে তার গর্ভবতী হবাঁর খবর পেয়ে গেছেন | তাই চতুর একটি চাল চেলে খুবলালকে দিল্লি পাঠিয়ে তাকে এখানে ধরে নিয়ে এসেছেন | কিরণ একবার ভাবে, চোধারী সিংকে গাড়ি থামাতে বলে নেমে যাবে। তারপর বাস-টাস ধরে সোজা স্টেশনে গিয়ে দিল্লির ট্রেন ধরবে। পরমুহূর্তেই অদম্য জেদ তাঁকে পেয়ে বসে । কিরণের ধারণা সে যা করেছে তা সম্পূর্ণ জ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায়, কেউ তার ওপর জোরজ্ুলুম করেনি । এই সন্তান ধারণের GT তাঁর কোনোরকম পাপবোধ বা অনুতাপ হচ্ছে না। কিরণ ভাবে, বাড়ির কাছাকাছি যখন এসেই পড়েছে তখন ভীরুর মতো পা।লয়ে যাওয়ার কারণ নেই । সে জানে, ত্রাহ্মণত্বেব wy, বিখ্যাত মিশ্র বংশের অহংকার, গৌড়ামি, হাজার বছরের পুরনে৷ সংস্কার, মা, মুকুটনাথ, ঠাকুমা, তাদের কুলগুরু বশিষ্ঠনারায়ণ চৌবে -_সব একাকার হয়ে প্রচণ্ড শক্তিমান, অনমনীয় এবং একরোখা এক প্রতিপক্ষ তাকে গুড়িয়ে দেবার জন্য অপেক্ষা করছে। এদের মুখোমুখি তাকে দাড়াতে হবে। মিশ্র বংশের কাছে একটা বিরাট ব্যাপার হ'ল-শাস্তি এবং স্থিতাবস্থা। বস্তটাকে যূল্যবান পারিবারিক সম্পত্তি হিসেবে জেনারেশনের পর জেনারেশন আগলে রাখা হয়েছে। পুরুষাহুক্রমে ধর্মপালনের মতো সবাই এটা অটুট রাখছেন | কথনো কোনো কারণে শান্তিডঙ্গের কারণ ঘটেনি | কিরণের বাব মুকুটনাথ বহুকাল আগে কয়েক বছর ধরমপুরার সরকারী হাই স্কুলে যাতায়াত করেছিলেন। তারই স্বতিচিহ্ন হিসেবে তার কথায় হামেশাই দু'চারটে ইংরেজি শব্দ ঢুকে পড়ে। তিনি মাঝে মাঝেই বলেন, “A চালু আছে তা চলতে দাও। কিসী প্রকার ডিসটার্ব মাত, করনা! তাতে অশাসপ্তি ছাড়া কোনো গেইন নেই । শাস্তিভঙ্গ আমার বিলকুল না-পসন্দ ।* ১৬



Leave a Comment