হিন্দু মেলার ইতিবৃত্ত | Hindu Melar Itibritta

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ধন্য রে বৃটন ধন্য শিক্ষা তোর যুগযুগান্তের অমানিশা ঘোর তোরি গুণে আজ হল উম্মোচন, তোরি গুণে আজ ভারত ভুবন এ সখ্য বন্দনে বাঁধিল। হিন্দুমেলার একটি গান “লজ্জায় ভারতযশ গাইব কি করে” তখন বিখ্যাত হয়েছিল। এর শেষের দু-চরণ এই রকম- আমরা সকলে হেথা, হেলা করি নিজ মাতা, মায়ের কোলের ধন নিয়ে যায় পরে। গানটিতে একটি নতুন সুর ধ্বনিত হয়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু যে গান প্রকৃতপক্ষে হিন্দুমেলার উদ্দেশ্যকে প্রকাশ করেছে, সে হচ্ছে-- গাও ভারতের জয় কি ভয় কি ভয়। বন্কিমচন্দ্র এই গানটিকে উচ্ছ্বসিত সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন। তিনি অতিশয়োক্তি করেননি। এখন থেকে প্রায় চল্লিশ বৎসর পূর্বে প্রধানত “প্রবাসী' ও “মডার্ণ রিভিউ” পত্রিকায় শ্রীযুক্ত যোগেশচন্দ্র বাগল লিখিত উনবিংশ শতাব্দীর সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের কাহিনী প্রকাশিত হতে শুরু হয়। এই দীর্ঘকাল ধরে তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক জীবন ও চিস্তানায়কদের তথ্যভিত্তিক বিবরণ সহজলভ্য হয়েছে, গত শতাব্দীর ছবি এই শতাব্দীর পাঠকের কাছে স্পষ্ট হয়েছে। প্রায় পঁচিশ বছর আগে এই ATA প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। তখন হিন্দুমেলার ইতিবৃত্ত এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক চেতনার উন্মেযের কাহিনীর সঙ্গে অনেকে ভালো পরিচয় ছিল at | এ কথা হয়তো সত্য যে বাঙালী এঁতিহাসিকেরা অন্য প্রদেশের ইতিহাস চর্চায় সে-রকম উৎসাহ দেখিয়েছেন বাংলা দেশের অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালের ইতিহাস রচনায় যে-রকম উৎসাহ দেখাননি। শ্রীযুক্ত যোগেশচন্দ্র বাগল এবং অল্প কয়েকজন গবেষকের চেষ্টায় সে ত্রুটি অনেকাংশে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। বন্কিমচন্দ্রের জীবিতকালে যখন বাংলা দেশের একটি ক্ষীণাঙ্গ ইতিহাস প্রকাশিত হয়েছিল তখন তার উৎসাহের অবধি ছিল না। তাকে তিনি “সুবর্ণের মুষ্টি' বলেছেন। হিন্দুমেলার ইতিহাস যখন প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল তখন এ কথা বলবার মতো কেউ ছিলেন না। কিন্তু যোগেশচন্দ্রের অসংখ্য কৃতজ্ঞ দেশবাসী তার দীর্ঘ সাধনা ও নিষ্ঠার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতুলচন্দ্র os কলিকাতা ১৮



Leave a Comment