চতুরঙ্গ | Chaturanga

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
জ্যাঠামশায় ণ পিতার অল্পবয়সে যৃত্যুর নজিরের জোরে মা-মাসির , সমস্ত সেবাযত্ন তিনি নিজের দিকে tifa লইলেন | সকলের আগে। তার আহার, সকলের হইতে তার আহারের আয়োজন স্বতন্ত্র, সক্লের্‌ চেয়ে তার কাজ কম, সকলের চেয়ে তার বিশ্রাম বেশি | কেবল মা-মাসির নয়, তিনি যে তিন-ভুবনের সমস্ত ঠাকুরদেবতার বিশেষ জিম্মায়, এ তিনি কখনো ভুলিতেন না। কেবল ঠাকুরদেবতা নয়, সংসারে যেখানে যার কাছে যে পরিমাণে স্থবিধা পাওয়া যায় তাকে তিনি সেই পরিমাণেই মানিয়া চলিতেন-- থানার দারোগা, ধনী প্রতিবেশী, উচ্চপদের রাজপুরুষ, খবরের কাগজের সম্পাদক, সকলকেই যথোচিত ভয় ভক্তি করিতেন, গো-ত্রাহ্মণের তো কথাই নাই | জগমোহনের ভয় ছিল উলটা দিকে । কারও কাছে তিনি লেশমাত্র স্থবিধা প্রত্যাশা করেন এমন সন্দেহমাত্র পাছে কারও মনে আসে, এই ভয়ে ক্ষমতাশালী লোকদিগকে তিনি দূরে afta চলিতেন । তিনি যে দেবতা মানিতেন না, তার মধ্যেও তার ওই ভাবটা ছিল । লৌকিক বা অলৌকিক কোনো শক্তির কাছে তিনি হাতজোড় করিতে নারাজ | যথাকালে, অর্থাৎ যথাকালের অনেক পূর্বে, হরিমোহনের বিবাহ হইয়| গেল fea মেয়ে, তিন ছেলের পরে শচীশের' জন্ম । সকলেই বলিল, জ্যাঠামশায়ের সঙ্গে শচীশের চেহারার আশ্চর্য মিল ৷ জগমোহনও তাকে এমনি করিয়। অধিকার ক্রিয়া, বসিলেন যেন সে তারই ছেলে । ইহাতে যেটুকু লাভ ছিল হরিমোহন প্রথমটা সেইটুকুর



Leave a Comment