For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৬ ইতিহাস ও লোক এঁতিহোযে নদীয়া এখানে বসলে | মকরসংক্রান্তির দিনে বিশেষ পূজা-পাঠ হয় এখানে | মেলা বসে একদিনের |
বসে বাউল এবং ফকিরি গানের GAS | এ দিন আশে পাশের গ্রাম যথা ফুলবাড়ী,
আন্দুলিয়া, শোনপুকুর, আলফা, বানিয়াখড়ি ও অন্যান্য গ্রামের বছ লোকজনের ভীড় হয়।
নির্জন ঠাকুরাণ তলা তখন গম্ গম্ করে ওঠে AY জনতার ভীড়ে। তবে মূলত ছোট ছোট
ছেলে মেয়ে এবং মহিলাদের ভীড়ই হয় বেশী। AVA এবং নতুন পোষাকে সঙ্জিত হয়ে
আসে AS | এই ঠাকুরাণ তলার SPAT হলেন আসলে রক্ষাকালী। তিনি গ্রামের সবাইকে রক্ষা
করেন। কিন্তু এখানে স্থায়ী কোন মূর্তি নেই। এ সংক্রান্তির দিনেও কোন মূর্তির পূজা হয়
না। তবে যুপকাষ্ঠে পাঁঠাবলি দেওয়া হয়ে থাকে। লোকে মানত BCA | মানত শোধও করে। মকর Aries দিন ছাড়া ও বিশেষ কোন প্রাকৃতিক দুর্য্যোগ দেখা দিলে বা মড়ক
লাগলেও মা ঠাকুরাণের বিশেষ পূজা করা হয়ে থাকে। তাছাড়া চৈত্র মাসে মা-শীতলার
পূজাও হয়ে থাকে। ৪। (ক) এখানে দশহরার সময় বিল এবং নদীর ers হয়ে থাকে। নদী-বিলে মাছ
মেলে, চাষের কাজে লাগে নদী ও বিলের জল। স্নান চলে বিলে ও নদীতে তাই নদীও
বিলকে ABS রাখা দরকার বৈকি। আসলে এই নদী ও বিল পূজা গঙ্গা পূজারই নামাত্তর। ৪। (খ) এই ঠাকুরাণ তলাকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে নানা লোকশ্রুতি। এই জাগ্রত ও
পরিত্র স্থানে কেউ মিথ্যা কথা বললে বা কোন অপকর্ম করলে সঙ্গে সঙ্গেই মিলে যায়
কঠিন শাস্তি। শোনা যায় বছ দিন আগে কারা নাকি ছাগল চুরি করে এখানে লুকিয়ে aa
করে খেয়েছিল কিন্তু দুদিন পরেই মুখ দিয়ে রক্ত উঠে মারা যায় তারা। কে নাকি একবার এখানে এসে মিথ্যা কথা বলেছিল এর ফলে মুখ দিয়ে কথা বলাই
বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার। এখানে মল মূত্রাদি ত্যাগ করা নিষিদ্ধ। একবার কারা নাকি ভুল করে এই ভূমিতে মুত্র
ত্যাগ করেছিল ফলে তাদের aS বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে অনেক চিকিৎসা এবং ঠাকুরাণ
তলায় পূজা দেওয়ার পরেই মুক্তি পায় তারা। এমন কতো সব কাহিনীই না ছড়িয়ে আছে এ ঠাকুরাণ তলাকে fara | ৪। (গ) কতো যুগ ধরে যে এখানে গঠাকুরাণের পূজা হয়ে আসছে বলতে পারে না
কেউই। তবে সবাই জানে দেবী জাগ্রত। তিনি দেবী। মহাদেবী। কল্যাণময়ী এবং সকল
বিঘ্বনাশিনী দেবী | তিনি একাধারে oP কালী-মনসা-দুর্গ-শীতলা-_সবই। যে যে ভাবেই
দেবীকে ভাবুন বা ডাকুন না কেন তিনি সাড়া দেবেনই। জিধার ঠাকুরাণ তলায় দাঁড়িয়ে স্থান মাহাত্ম্যে মুগ্ধ হতে হতে বার বার মনে হয় এই
ঠাকুরাণ দেবীর পূজা আসলে প্রাচীন বৃক্ষ পূজারই নামাত্তর। এই ঠাকুরাণ দেবী আসলে
জিধার মূর্তিহীন লৌকিক দেবীই। ৫। আর্থিক অবস্থা-_ গ্রামের অধিবাসীদের অধিকাংশই কৃষক। পাকাবাড়ী বিশেষ নেই বললেই OCA গ্রামের
সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। সহজ সরল তবে ভীষণ ধার্মিক ছেলে বুড়ো সকলেই ।
চাষবাস আর মাছ ধরাই গ্রামবাসীদের মূল পেশা ও জীবিকার উৎস।