For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)হল--_ছয়া-হুয়া-ছয়া-ছয়া। শেষে রেললাইনের ওধারে বহুদূরে গিয়ে মিলিয়ে গেল
হুয়া-হুয়া-হয়া-ছয়া। উদ্ধারণপুরের AS | রাত্রি ছায়া-দিয়ে-শড়া কায়াহীনা নিশীথিনী নয়। আঁখিতে স্বপন দেখার সূর্মা পরে যে রজনীরা দুনিয়ার বুকে আসে যায়, সেই
ছলনাময়ী অভিসারিণীরা উদ্ধারণপুরের ব্রিসীমানা মাড়ায় না। তিমির কেশজালে
নিরাভরণ নগ্ন কায়া আবৃত্ত করে যে যামিনীরা নিঃশব্দে আবির্ভূতা হয় উদ্ধারণপুর
শ্মশানে, তারা ঝামনার বিষ থেকে তিলে তিলে গড়ে-ওঠা তিলোত্তমা সূতিকাগারে
জন্মলাভ করে কাম, বুকে নিয়ে অনস্ত পিপাসা। কিছুতেই শাস্তি হয় না সে
পিপাসার। শেষ পর্যন্ত এসে উপস্থিত হয় শ্মশানে। সবই ভস্মীভূত হয় এখানে, ধুয়ে
যায় গঙ্গার জলে। শুধু পোড়ে না সেই অতৃপ্ত Waal | উদ্ধারণপুরের শর্বরীর চক্ষেও
সেই অতৃপ্ত তৃষ্ণা, পীনোন্নত বক্ষে যুগযুগাত্তরের নির্লজ্জ লালসা। চুপে চুপে এসে
দাড়াত আমার পেছনে। উষ্ণ শ্বাস পড়ত আমার পিঠের ওপর । স্পষ্ট শুনতে
পেতাম তার প্রতিটি শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ। ঝলসানো মাংসের উৎকট tH ছাপিয়ে
তার তনুর FIP আচ্ছন্ন করে ফেলত আমায। সর্বেন্দ্রিয় অবসন্ন হয়ে পড়ত।
পেছন থেকে ধীরে ধারে জড়িয়ে ধরত সেই কামুকী নিশাচরী। তার নগ্ন বক্ষের
নিষ্পেষণে আমাব দম বন্ধ হয়ে আসত। কী তীব্র মাদকতা তার চক্ষু দুটির অতল
চাহনিতে! তার হিমশীতল নগ্ন দেহের নিবিড় আলিঙ্গনের মাঝে তলিয়ে যেতাম। এখনও গোধূলি-লগ্নে চটুল চরণে আসে Aa রাত্রির জন্যে যত্ন করে
বাসরশয্যা সাজিয়ে দেয়; তারপর করুণ নয়নে একবার আমার দিকে তাকিয়ে
ত্রস্তপদে বিদায় নেয়। কিন্তু আসে না রাত্রি! বৃথা প্রতীক্ষায় প্রহর গুণে ঢুলতে
থাকি। হঠাৎ গভীর নিশীথে তন্দ্রা ছুটে AT! তখন যার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় সে সেই
উদ্ধারণপুরের উন্মত্তা শর্বরী নয়। এ এক লোলচর্ম পক্ককেশ দত্তহীনা থুথুরে BG
এর বীভৎস মুখ-গহ্রের মধ্যে Pocus কুটিল ইঙ্গিত। কোটরে-বসা দুই চক্ষের
হিংস্র দৃষ্টিতে নিয়তির নির্মম og, শ্বাসপ্রশ্বাসে হারিয়ে-যাওয়া অতীতের জন্যে
কুৎসিত হাহাকার। কিছুই দিতে আসে না আজকের নিঃস্বা বিভাবরী। শুধু নিতেই
আসে। সারা রাত এর সঙ্গে এক শয্যায় কাটাবার Fou দিতে হয় একদিনের
পরমায়ু। আজও তারা MAA আসত আমার কাছে উদ্ধারণপুরের শ্যশানে। এসে
ভিড় করে দাঁড়ায় আমার চারপাশে! করুণ কণ্ঠে মিনতি করে বলে, “চল গোসাীই,
আবার ফিরে চল আমাদের সেই আড্ডায়। তোমার জন্যে গদি পাতব আমরা।
বাশের দেওয়াল দিয়ে ঘর তুলে দোব, চাটাই আর মাদুর দিয়ে চাল বীধব। তুমি ১৮