For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)খ্যা ১ বঙ্কিমচন্দ্র ও গীতার রচনাকাল সেই জন্য এ অংশকে MBs দ্বিতীয় শতাব্দীর রচনা বলা হয়। পশ্চিমের পণ্তিতরা বলেন
যে মহাভারত রচনার পরে গীতা উহাতে সংযোজিত a প্রক্ষিপ্ত করা হইয়াছিল ৷ যদি তাহা
হইত তাহা হইলে প্রথমতঃ মহাভারতের Sms ব্যুহবাদের Fors উল্লেখ ও গীতায়
তাহার সম্পূর্ণ অনুল্লেখ থাকিত না। Stace গীতাপর্বাধ্যায় শেষ হইবার ২০ অধ্যায় পরে
aa বলিতেছেন যে তিনি অনিরুদ্ধ হইতে, অনিরুদ্ধ care হইতে এবং প্রদ্যয় ও সঙ্কর্ষণ কৃষ্ণ
হইতে উদ্ভুত হইয়াছেন (১৪)। দ্বিতীয়তঃ মহাভারতের বিভিন্ন we শতবার
শ্রীমন্তগবদগীতার উল্লেখ থাকিত না। শান্তিপর্বের নারায়ণীয় পর্বাধ্যায়ে তিনবার, অন্বমেধ
পর্বের অনুগীতা পর্বাধ্যায়ে একবার ও আদিপর্বে তিনবার গীতার উল্লেখ আছে (১৫) ৷ এই
সব দেখিয়া মনে হয় যে পূর্বপ্রচলিত গীতাই মহাভারতের মধ্যে সন্নিবেশ করা হইয়াছিল ৷
বঙ্কিমচন্দ্র স্পঞ্ট করিয়া না বপিলেও এই অর্থেই হয়তো তিনি ধর্মতত্বে পিখিয়াছেন (পৃ. ৮১)
“গীতা মহাভারতে প্রক্ষিপ্ত ।” এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে সাহেবদের অনেক আগেই বনঙ্কিমচন্দ্রের মনে সম্দেহ
জাগিয়াছিল যে গীতায় কিছু জোড়াতালি আছে। তাই তিনি গীতার oie শ্লোকের
ব্যাখ্যায় লিখিয়াছেন যে দশম হইতে যোড়শ “এই সাতটি শ্লোক যে ভগবদুক্তি, wie আমি
বলিতে পারি না। আমি পূর্বেই বলপিয়াছি যে, গীতায় যাহা fy আছে, তাহাই যে
ভগবদুক্তি, এমন কথা বিশ্বাস করা উচিত নহে। (পৃ. ১১৫) তাহার মুক্তি এই যে
“seater নিষ্কাম ধর্মের সঙ্গে এই সাতটি সশ্লোকের বিশেষ বিরোধ i” শঙ্করাচার্যের গীতা-
ভাহ্থের কথা উল্লেখ afer তিনি লিখিয়াছেন, “তবে দেশ কাল পাত্র বিবেচনা করিয়া
আমাদের স্মরণ করিতে হইবে যে, গীতা যে Sow সমস্ত শ্রীকৃষ্ণের মুখপল্ম-বিনির্গত,
ইহা তিনি বিশ্বাস করিতেন বা করিতে বাধ্য । কাজেই এখানে অপরের উক্তি কিছু আছে
বা জোড়াতাড়া আছে, এমন কথা তিনি মুখেও আনিতে পারেন না”। (পৃ. ১১৯)
তিনি “যজ্ঞ” শব্দের বিভিন্ন অর্থে ব্যবহারের সম্বন্ধে লিখিয়াছেন যে ৩৯ শ্লোকে শঙ্করাচার্য
যজ্ঞ অর্থে ঈশ্বর ধরিয়াছেন, কিন্তু পরবর্তী কয়েকটি শ্লোকে “সহযজ্ঞাঃ crete”, “যজ্ঞভাবিতাঃ
crate” “যজ্ঞ শিষ্াশিনঃ”, “যজ্ঞ? ages” “ave প্রতিষ্টিতম্” ইত্যাদি প্রয়োগে za
mica বিষ বা ঈশ্বর বুঝাইতে পারে না” যদি ধরা যায় যে নবম Cats যজ্ঞ শৰ্ এক অর্থে
ব্যবহার BAA so, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ শ্লোকে অন্য অর্থে ব্যবহার করা হইয়াছে, তাহা
হইলে বলিতে হয় যে গীতা প্রণেতা রচনায় নিতান্ত অপটু নয়তো শঙ্কর ও জ্রীধরস্বামীর was
শব্দের অর্থ aye কিন্তু তাহার মতে “এ দুইয়ের একটাও স্বীকার করা যায় না। যদি তা না
যায়, তবে স্বীকার করিতে হইবে যে, হয় নবম হইতে পঞ্চদশ পর্যন্ত একার্থেই যজ্ঞ শব্দ
ব্যবহৃত হইয়াছে, নয় নবম শ্লোকের পর একটা জোড়াতাড়া আছে”। (পৃ. ২১) বনঙ্কিমচন্দ্র
গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের ১৯ ল্লোকের পর আর sien করিয়! যাইতে পারেন নাই। (১৪) মহাভারত ৬৬১৫৫-৬৬। (পৃণা সং)
(১৫) এ ১২।৩৩৬৩৬ ? ১২।৩৩৬।৪৮-৪৯; SED!
4 :