ভগবান রমণ মহর্ষি | Bhagaban Raman Maharshi

জাগরণ ¢ যেতেন এবং যুক্তকরে দরবিগলিত ধারায় নটরাজের সম্মুখে দণ্ডায়মান হয়ে অন্তরের অন্তঃস্থলে ঈশ্বরোপলৰ্ধি করতেন। খুল্লতাত ও জ্যেষ্ঠ-ভ্রাতা বেঙ্কটরমণের ধর্মপ্রবণতা ভাল চোখে দেখলেন Sia মত বুদ্ধিমান যুবক যে এইভাবে নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন তা' Stal উচিৎ বিবেচনা করলেন না এবং এজন্য প্রায়ই তাকে তিরস্কার করতেও লাগলেন । বিদ্যালয়েও পড়াশুনার অবহেলা শিক্ষকের দৃষ্টি এড়াল না আর তা*র জন্য তা'কে লাঞ্ছিতও হ'তে হ'ল। ১৮৯৬ সাল ২৯শে আগষ্ট তারিখে বেষ্কটরমণ বেনের গ্রামারের একটা অংশ নকল করছিলেন। স্কুলে পড়াপ্ুনার অমনোযোগীতার শাস্তি স্বরূপ এ একই অংশ তিনবার নকল করার জন্য শিক্ষক মহাশয় আদেশ দিয়েছিলেন। এরূপ নকল করতে করতে হঠাৎ তার Heat বিদ্রোহ করে উঠল। এই অসার কাজ আর কতদিন করতে হবে ? এ কাজের প্রয়োজনই বাকি? সঙ্গে সঙ্গে খাতাপত্র একপাশে গুটিয়ে রেখে ঈশ্বর চিন্তায় তিনি বিভোর হলেন। জোযেষ্ঠ-ত্রাতা পূর্বাপর সবই দেখছিলেন-_ভ্রাতার ধ্যানাবস্থা দেখে তিনি বিদ্ষপের স্বরে বল্লেন _এ অবস্থায় সংসারে থাকার প্রয়োজন কি ? কিশোরের স্বদয়ের অস্তঃস্থলে জ্যেষ্-ভ্রাতার fam স্পর্শ করল-_সত্যই তো এই অসার সংসারে থাকার প্রয়োজন কি? অরুণাচল ! অরুণাচল !! অন্তরের গভীরে সেই মুহূর্তে অরুণাচলের ডাক শুন্লেন তিনি, সমগ্র চেতনায় অরুণাচল সমুজ্রল হয়ে উঠল | পিতৃদেব ডাক দিয়েছেন আর তো অপেক্ষা Sal চলে না --আর পরবাসী নয়, এই মুহূর্তেই ছাড়তে হবে ঘর-_-নিজগৃহ অরুণাচলে যাওয়ার ASI গ্রহণ করলেন বেঙ্কটরমণ। অরুণাচলের পথ তো জান! নেই-কোন্‌ পথে যাওয়া যায়, কি করে যাওয়া যায়--শেষ Aare হদিস মেলে পথের--বার করলেন খুঁজে এক পুরাণ রেলের টাইম টেবিল । তিন্দিভানম্‌,--