দেশপ্রিয় যতীন্দ্র মহান সেনগুপ্ত [খণ্ড-২] | Deshapriya Jatindra Mohan Sengupta [Vol.2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রথম পরিচ্ছেদ পরিবার ও পরিবেশ যতীন্দ্র মোহন ধনী ঘরের ছলাল হয়ে জন্মাননি। তার পিতা যাত্রা মোহন সেন কঠোর পরিশ্রমে ও সৎ উপায়ে অল্পে অল্পে প্রভূত বিত্তের অধিকারীরূপে খ্যাতি লাভ করেছিলেন । যাত্রা মোহনের পিতা ব্রাহিরাম সেন সন্ত্রাস্ত বৈদ্যবংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সত্য, কিন্তু আজীবন তাঁকে দারিদ্রের সঙ্গে সংগ্রাম করতে হয়েছিল । ত্রাহিরামের পত্নীর নাম ছিল মেনকা। কবিরাজ রূপে ত্রাহিরামের এমনি খ্যাতি ছিল যে তিনি চিকিংসা করতে আসবেন জানলেই অনেক রোগী আরাম বোধ করত। কবিরাজীতে তার পদসার ছিল ভালো, তার জীবনযাত্রাও ছিল অনাড়ম্বর ও স্তনিয়ন্ত্রিত। কিন্তু তাহলে কি হয়, প্রভূত ধন তিনি উপার্জন করতে পারেননি, সম্ভবতঃ তার অধিকাংশ রোগী ছিল গরীব-ছুঃখী এবং তিনি বিনা পয়সায় তাদের চিকিৎসা করতেন। ত্রাহিরাম ও মেনকার চার ছেলের নাম নবকুমার, নীলকমল, প্যারী মোহন ও যাত্রা মোহন | একমাত্র মেয়ের নাম ত্রিপুরাস্নন্দরী। যাত্রা মোহন হয়েছিলেন কেবল এই পাঁচ জনের মধ্যে নয় আর পাঁচ জনেরও মধ্যে একজন। ১৮৫০ সালে তার জন্ম। ত্রাহিরাম ও মেনকার মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠ নবকুমারকে মাসিক বারো টাকা বেতনে জমিদার বাড়ির গোমনস্তার কাজ নিতে zai এদিকে Ua মোহনের উচ্চ শিক্ষায় বিশেষ আগ্রহ । পড়াশোনায় ভালো ছিলেন বলে এনট্রান্স পরীক্ষায় তিনি জলপানি পান এবং সেই বৃত্তির টাকা জমিয়ে তিনি বি, এ ও বি, এল পরীক্ষায় পাশ করেন । পূর্ববঙ্গের প্রধান বন্দর চট্টগ্রাম সহরে তিনি তার ওকালতি ব্যবসা শুরু করেন। অনতিকালের মধ্যে তাঁর পসার জমে এবং ওকালতির পয়সায় তিনি বিস্তর জমিজমা খরিদ করেন । পরে তিনি বরমা গ্রামের জমিদাররূপে পরিচিত হন।



Leave a Comment