মহাভারত (আদিপর্ব) | Mahabharat (Adi Parba)

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
( # ) বিদ্যাসাগর মহাশয়ের গ্রন্থ বঙ্গদেশে বহুলরূপে প্রচলিত ও আচৃত | সুতরাং সে সমুদায়ের fase সমালোচন। eset নিশ্রয়োজন ৷ সংস্কৃত ভাষার শব্দ-সমুদ্র মন্থন করিয়া,তাহা হইতে অমৃতকল্প স্থমধুর শব্দসকল উত্তোলন করতঃ তৎসহ- যোগে সুশ্রাব্য বাক্য রচনা করিয়] বঙ্গভাষার কলেবর ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির an বিদ্ঠাসাগর মহাশয়। তাহার বেতাল পঞ্চবিংশতির রচনা যেরূপ কোমল, মনোহর ও মধুবধিণী অন্ত কোন পুস্তকের সেরূপ নহে। বেতাল পঞ্চবিংশতির রচনা যেরূপ মধুর, জীবন চরিতের রচনা সেইরূপ ওজস্বিনী । বিদ্যাসাগরের উপক্রমণিকা ব্যাকরণ ও কোৌমুদী দ্বারা দেশে সংস্কত শিক্ষার যুগাস্তর হইয়াছে। পূর্বে পাণিনি বা বোপদ্েবের ব্যাকরণ আয়ত্ত করা সাধারণের পক্ষে অসম্ভব হইয়া পড়িত, কিন্তু তিনি তাঁহার ব্যাকরণ ata সংস্কৃত শিক্ষা বহুপরিমাণে সহজসাধ্য করিয়। দিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগরের সীতার বনবাস পাঠ করিলে ANIA হৃদয় দ্রবীভূত AW) করুণ রসের উদ্দীপনে তাহার অদ্ভুত ক্ষমতার পরিচয় এক সীতার বনবাসেই পাওয়া যায়। কথামালা, বোধোদয়, চরিতাবলী, আধ্যানমঞ্জরী প্রভৃতি feats সরল রচনার দৃষ্টান্ত স্থল । ফলতঃ কি সরল কি মধুর কি ওজস্বিনী যে কোন রচনায় তিনি হস্তক্ষেপ করিয়াছেন তাহাই সর্বাহসুন্দর ও আদর্শ- স্থানীয় হইয়াছে ৷ বাঙ্গালা ভাবায় যুক্তি তর্কাদি দ্বারা শাস্ত্রীয় বিচারে তিনি কতদূর কৃতকার্য্য হইয়াছিলেন তাহা বিধবা বিবাহ ও বহু বিবাহ- বিচার os করিলেই বুঝিতে পারা যাইবে । এই সকল কারণেই “সুযীরঞুনের” বঙ্গভাষ! বলিয়াছেন, “একাকী ঈশ্বর মম বিদ্যার সাগর ॥ তার যদি জননীর প্রতি থাকে টান। ত্বরায় উঠিবে মম যশের তুফান ॥”--বঙ্গতাবার এই ভবিয্যদ্বানী বর্ণে বর্ণে সত্য হইয়াছে | - 3% গ্রন্থ সমালোচনা |



Leave a Comment