সুবোধ ঘোষের গল্প সংগ্রহ [খণ্ড-৪] | Subodh Ghosher Galposangraha [Vol. 4]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রাগ করি না| সোমনাথ | সেদিন কাগজে পড়লাম, আধুনিক এক বম ভাস্কর ভগবান বুদ্ধের যুতি গড়েছে। yer হাতে হাতঘড়ি আর চোখে চশমা পরিয়ে দিয়েছে । বলতো, কী সব অনাচার চলেছে ? সোমনাথ--না, এসব সত্যই Hasty | -_-এসব পাপ, এর প্রায়শ্চিত নেই। আরও শুনলাম, কথাটা সত্য কিনা জানি না। কলকাতায় নাকি এক বিলেতফেরত ভচ্ছলোক দেবতার মুখোন পরে অশ্লীল লশ্ফ-ঝম্প করে আর তারতীয় নৃত্য নাম দিয়ে টাকা কামায়? সোমনাথ যেন উপাধ্যায়ের মনের গহনে ক্ষতটাকে দেখতে ATT! তাই অভিমতগুলি বড় রূঢ় হলেও সোজা অস্বীকার করার মতো যুক্তি হাতড়ে পায় না। তবু একটা প্রতিবাদ দাড় saty i—ey প্রাচীন ভারত নিয়েই তো চলে না। আধুনিক ভারতের, আধুনিক যুগের রীতি মানিয়ে চলতে হবে col | আধুনিক ! কথাটা শুমেই উপাধ্যায় আবার ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। বিকৃত স্বরে বলেন-_তোমার কলকেতে-শিল্পীর] ভারতীয়ও নয়, আধুনিকও নয়। ভারতীয় হবার মতো নিট] নেই, আধুনিক হবাঁর মতো প্রতিভা নেই। ওরা কিছুই নয়। যেন সাহেবরা বুঝতে পায়ে, এই ওদের লক্ষ্য। ছবি যুতি নাচ গান_সহ। ভারতীয় হলে সাহেবরা বুঝতে পারৰে না, এই ওদের ভয়। নিশির ডাকে নয়, ঘুম এল না] তাই। সোমনাথ ঘরের কপাট খুলে বেযিয়ে গেল। রাক্তির শেষ যাম, চাদ ডুবছে বেনমতীর ওপর । জল আর বালিয়াড়ির গায়ে-লেগেছে তামাটে জ্যোৎস্গার আভা। কোন উদ্দেশ্য নেই, সোমনাথ gra ফিরে বেড়াতে লাগলে মন্দিরের ভগ্নস্তুপের চারদিকে। একট] ঢিবি থেকে নিচে নামতেই চোখে পড়লো, কেউ যেন কাপড় ঢাকা দিয়ে শুয়ে রয়েছে। কিন্তু চোখের ধাধ। মাত্র । বৃষ্টির কাদা-জল লেগে ঢাক! পড়েছে শায়িত যূত্টা। হাত দিয়ে ধলো সরিয়ে দিতেই হেসে উঠলে] একটি মুখ । ললিতাসন] এক সোমা) দক্ষিণামূতি _বরদা মুদ্রা । কী স্পষ্ট হাসি, আয়ত চোখে কী গাঢ় উজ্জল দৃষ্টি। সোমনাথের সমস্ত শরীর একবার শিউরে উঠলে। | ভয় ভয় করছে। তার সমগ্ত sasy আর অবজ্ঞাকে যদি West প্রশ্ন করে বসে । সোমনাথ অন্য পথে সরে পড়লে। ate হয়ে সোমনাথ ঠেস দিয়ে দাড়ালো একটা অবলুঠিত ভাঙা তোরণের গায়ে। অদ্ভুত এক অনুভবের cats uta বিচারবুদ্ধিকে fara ধয়েছে যঘেন। সময়ের ব্যবধান ভেঙে যাচ্ছে--এক Has বিগত যুগের কোলে এসে পৌছে তথ ও ড়



Leave a Comment