For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)'আজ ওর জন্মদিন, নিশ্চয়ই তুমি জানো না।”লাইন কেটে দিলেন কণিকা। ফোন বন্ধ করে হতভম্ব হয়ে কাবেরীর দিকে তাকালেন বৃদ্ধ, 'মাই গড, কী
ভীষণ বোকা আমি!” উঠে চলে এলেন কাবেরীর পাশে, হাত রাখলেন ওঁর
মাথায়, “শুভ জন্মদিন। দেরিতে হলেও এই যুবকের উষ্ণ অভিনন্দন গ্রহণ
করুন ম্যাডাম।' 'ধন্যবাদ।” হাসলেন কাবেরী। 'অবশ্য একটু পরে, ATT নাগাদ আমি তোকে নিজে থেকেই অভিনন্দন
জানাতাম। রোজ সকাল নটায় ডায়েরির পাতা দেখি। আজ তোর মা আগে
ভাগেই বকুনিটা দিল।” ঘড়ি দেখলেন মস্তামামা, 'যাই। অনেক কাজ বাকি
রয়েছে।' “প্যাকেটের কথা কী জিজ্ঞাসা করছিলে মাকে?” “ও এমন কিছু নয়। জাস্ট এ প্যাকেট।” বৃদ্ধ দ্রুত সরে গেলেন সামনে
থেকে। কাবেরী দেখলেন একটা মাঝারি সাদা মেঘ হাওয়ার টানে নেমে এসেছে
নীচে। এই মেঘ নিয়ে কত SAS, কত ত্যাবেগের ST) আবেগ! এই শব্দটি
কণিকা চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে নেই। সেইসঙ্গে হেরে গেলে মেনে নিতে রাজি
নন কিছুতেই। মায়ের যে চেহারাটা কাবেরী প্রথম মনে করতে পারেন তখন
তাঁর নিজের বয়স বারো। তার আগে মাকে খুব ভালভাবে দেখেছেন বলে
স্মৃতিতে নেই। মা সম্পর্কিত যাবতীয় কাহিনী শুনেছিলেন দিদিমার কাছে। কিন্তু
সেই কাহিনীও তো দিদিমা যেমন জানতেন তেমন। শীতের ছুটির পর কণিকা দত্তকে দার্জিলিং-এ ফিরে যেতে হলেও স্কুল
কর্তৃপক্ষ তাকে বেশি দিন রাখেনি। লুকিয়ে ধূমপান করার অভিযোগে তাকে
ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দিয়ে ফেরত পাঠানো হল। মা প্রচণ্ড শাসন করলেন,
বাবা aw শেষ পর্যন্ত তিনি ওকে নৈনিতালের একটি বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি
করে দিয়ে এলেন। ওকে কোনও ছুটিতেই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে না। ছুটির
সময় দত্ত পরিবার গিয়ে থাকবেন নৈনিতালে। ওখানে যাওয়ার পর মনে হল
কণিকা খুব সিরিয়াস হয়ে গেছে। পরীক্ষায় দারুণ ফল করতে লাগল। তার
আচার আচরণ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও অভিযোগ নেই। এই রকম ভাল মেয়ে
হয়ে সে স্কুল শেষ করল। শ্রীযুক্ত দত্ত মেয়ের এই অভাবনীয় পরিবর্তনে খুব সন্তুষ্ট। ওকে নৈনিতালের কলেজেই ভর্তি করে দিয়ে এলেন।
১৮