জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর নির্বাচিত গল্প | Jyotirindra Nandir Nirbachita Galpo

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
চোদ্দ শিল্পীর মতো অত্যন্ত বিলম্বিত লয়ে গল্প-উপন্যাস যতই পরিণতির দিকে এগোতে থাকে, ততই শিল্পী যেন একটার পর একটা পর্দা সরিয়ে পাঠককে একটা গভীর রহস্যের অন্তরালে নিয়ে যান। সম্ভবত সেই কারণেই তার উৎকৃষ্ট রচনা mara পাঠকের হৃদয়ে ছবি হয়ে যায় কিন্তু ছায়াছবি বা মঞ্চের আশুতোষ জনগণের কাছে সেগুলে গৃহীত হয় না। সমস্ত ইন্দ্রিয় দিয়ে প্রকৃতির রূপ রস গন্ধ ও বর্ণ উপভোগ করে জ্যোতিরিস্ত যে প্রকৃতিবিষয়ক গল্পগুলো লিখেছেন, তা বাংলা সাহিত্যে তার ce অবদান হয়ে রয়েছে। কিন্তু নারী যখন তার শিল্পীমনে প্রকৃতিরই অভিন্ন সত্ত] হিসেবে ধরা দিয়েছে তখন মানবচরিত্রের বিশ্লেষণে তার মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা পাঠককে অভিভূত করে । তিনি crates নারীকে নিছক নারী হিসেবেই দেখেন, পুরুষের কাছে তার দেহের বস্ততান্ত্রিক উপস্থানা রীতিমতো অনিবার্য হয়ে ওঠে । তাই ‘aw ও নারীর মতো স্বীয় প্রেমের গল্প তার সমগ্র রচনাবলীতে এমনই ব্যতিক্রম হয়ে বেঁচে থাকে, যে-গল্পটি শিল্পীমনের কভ্রমবিকাশের ইতিহাস রচনার প্রয়োজন ছাড়া সুধী পাঠকেরা তার উৎকৃষ্ট গল্পমালায় স্থান দিতে দ্বিধা করবেন। গল্পটির নায়িকা আধুনিকা তরুণী, “ফ্যাশানের Fey, তার দীর্ঘছন্দ শরীরের গড়ন নিটোল নিজ, হলদে ছোপ দেওয়া শাডিতে সে যেন সত্যিই একটা চিতা বাখঘিনী । সে গানও গায়, বন্দুকও চালায়, তার কণ্ঠে রূপোলি হাসির বানও ডাকে, ঘাড়ের রেখায় কথনও কখনও সতেজ ভঙ্গিমাও ফুটে ওঠে । পদ্মার চরে বেডাতে গিয়ে স্করপতি- fade এই নারীকে পণ্যাঙ্গনা ভেবে বসে। কিন্তু অসীম কৌতুহল নিরসন করতে গিয়ে সরপতি-নির্মলার ভুল ভেঙে যায়। যাকে ওরা পণ্যাঙ্গনা ভেঁবে বসেছিল সেই মেয়েটি বেহুল] বা সাবিত্রীর এঁতিহ্‌ বুকে বহন করে নিয়ে চলেছে। সে অন্ধ, বিকলাঙ্গ ও যঙ্ষ্মারোগগ্রস্ত স্বামীকে নিয়ে চিকিৎসকের নির্দেশে প্রায় তিন বছর ধরে নদীর বুকে ভেসে আছে। অপেক্ষাকৃত পরবর্তীক।লে লেখা ‘ARG’ Ss দাম্পত্যপ্রেম-বিবরজিত নয়, কিন্তু ততদিনে জ্যোতিরিজ্দ্র সাহিত্যগত পূর্ণরসসিদ্ধি নিয়ে স্ব-মহিমায় স্থিত হয়েছেন। স্ববিনয়কে অরুণা যথেষ্ট ভালোবাসত বলেই সে wears প্রশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছিল । ler স্ত্রী কার্যত তাকে পরিত্যাগ করেছিল আর give নিজের অসুস্থ বিবর্ণ জীবনটাকে কোনোরকমে টেনে নিয়ে চলেছিল । তাই, সে তার বন্ধু fence দারিদ্র্যপীড়িত সাংসারিক পরিবেশে অনাহারক্লিষ্ট বউ-বাচ্চাদের মাঝখানে যেতে মাপত্তি করেনি। স্বামীর সন্ধীর্ণতা ও নীচতা Ag করেও অরুণ দদুবিনয়ের শারীরিক আকাঙ্ক্ষা হাসিমুখে মেটায়। হয়তো প্রেম ও মাধুর্য ওদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে কিন্তু ম্ববিনয় ও অরুণা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে



Leave a Comment