মায়ামৃদঙ্গ | Mayamridanga

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মোহিনী ছোকরা এসেছিল--_সুফল তার নাম। অন্য কোথায় বায়না আছে বলে চলে গেছে। ওঃ কী আফসোস, কী আফসোস। শালাকে সামনে পেলে কলজেটা ছিড়ে খাই, নয়ত... ফজল বাধা দিয়ে বলে, পুরনো কথা থাক ওস্তাদ | বায়নার কথা ভাবুন। ওস্তাদ ঝাকসা কান করে না। শালা ঢ্যামনা আমার বুক খালি করে দিলে! বুকখানা গ্রীষ্মকালের আকাশের মত জ্বলে। বিবাহ করলাম। বুক ভরবার বড় আশা নিয়ে বিবাহ করলাম। কিন্তু ফজল, কী হল? সে জ্বালা তো শেষ হল না। সুফল যা দিয়েছে তা তো কেউ দিতে পারল না। জ্বালা নিয়ে ছটফট করে মা জাহৃবীর ধারে গিয়ে বসে থাকি। একদিন হঠাৎ যেন মা আমার বড় দয়া করে সামনে তুলেছিলেন ওই শান্তিকে। আঃ ফজল রে, সে কি দিন, সে কি আনন্দ। ফের আকাশের টাদ পেলাম হাতের মুঠোয়! তোর মনে পড়ে না ফজল?! কিন্তু ভাই, সুফল শান্তি নয়। শান্তি সুফল নয়। সুফল যাই করুক, শান্তির মত ... হঠাৎ সতর্ক হয়ে থেমে যায় ওস্তাদ ঝাকসা। স্মৃতিচারণায় যে আবেশ, তাতে ডুবে থাকলে এ আবেগবিহ্থূল কথাটার জবাব দেওয়া যেত। ফজলের মন পড়ে আছে বিনোদিঘীর আসরে চন্দ্র জুয়াড়ির বাঘের মতো অন্ধকার থেকে তাক করছে-_অবিকল দেখতে পাচ্ছে সে। গা শিউরে ওঠে! ফজল হিসেবি এসব ব্যাপারে--ওস্তাদের মত মরিয়া নয় সে। তাই সে বলে, ছাড়ান দ্যান জী, ছাড়েন। ভবিষাৎণ্টা ভাবেন। কখনও আপনি, কখনও তুমি বলা ওর অভ্যাস। ACMA মানুষ--বলতে গেলে আলকাপের আসরে ছোকরার মতই তার অস্তিত্ব এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ছোকরা যেমন তেমনি সঙদার বা সঙাল বা PV না থাকলেই চলে না। লোক হাসাবে কে? এ তো মূলে রঙ্গরসের নাট্য! সঙদার ফজল বাঘড়ি অঞ্চলের বুলিতে বলে ওঠে, চলেন ওস্তাদ--আমি শালা কাঠয়া ANG তো আছিই--গোপলার সঙ্গে পাল্লা, ডর কিসের? জোর রঙ ধরে দিব বরঞ্চ--ক্যানে, সেই পুরনো আমলের খাস্তা কাপগুলান? কথাটা তা নয় ফজল, কথা আছে। কী কথা? আছে। তা তোকে বলা যাবে না রে ভাই! ফজল অবাক LAR এই প্রথম সে শুনল-_-ক।৷ একটা কথা ওস্তাদ তাকে বলতে পারবে না। শুনে মনটা কেমন করে ওঠে | বুকে হাতুড়ি পড়ে হঠাৎ। সে বলে, আমাকে না বলার মত কিছু আছে ওস্তাদ ? বেশ, বল না। শুনব না। হয়ত বলব, বলব না ... নিস্তেজ কণ্ঠে ওস্তাদ ঝাকস৷ বলে। সে কথা এখন থাক। বায়নাপত্রে দেখছিলাম, শান্তিচরণের নামে কিছু লেখা আছে নাকি। নেই। থাকলে একটু কঠিন VS | ওকে নিয়ে গান না করলে টাকা দিত না AMG | তা ফজল, তুই বলছিস, গান চালাতে পারবি? আলবৎ পারব। ফজল লাফিয়ে ওঠে। কে জানে! অঙ্গহানি তো বটে। ওস্তাদ বাকসা উঠে দাঁড়ায়। ...ওঠ, 6s সবাই। ২২



Leave a Comment