সংস্কৃত-প্রাকৃত-অবহটঠ সাহিত্যের ইতিবৃত্ত | Samskrita-prakrita-abhattha Sahityer Etibritta

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অবতরূণিকা atta কাজের আংশিক সমাপনও অনেক সময়, যথেষ্ট বলে গ্রহণ করতে হয়। dca নাম যদিও 'সংস্কৃত-প্রাকৃত-অবহটুঠ সাহিত্যের ইতিবত্ত' তথাপি এ'র মাধ্যমে আমাদের অতীতের সংস্কৃতির ভ্রম-বিকাশের ধাঁরাব দিগৃদর্শন ছিল যুখ্য উদ্দেশ্য। কাগজ কলম নিয়ে আকাশের মক্তাঙ্গনের দিকে তাকিয়ে দৃশ্য সম্বন্ধে বিবৃতি দিতে গেলেই লিখতে হবে- হয়, আঁভাত শীলিমার কথা নয়তো, তারকামালা- বলাকা-সারস লহবীর কথা, মেঘের কথা ইত্যাদি। আকাশেৰ নিজস্ব কোন তথ্য হয়তো, সে লেখার মধ্যে থাকবেই না। কারণ আকাশ অদৃশ্য বস্তু । তাঁর রূপ নেই, আঁক্ৃতি নেই, রং নেই, চোখেব aT কোন গুণই নেই। এ অবস্থাটা কোন এক- জনের বেলায় নহে, অতীত অনাগত বর্তমানের যে কোন বাক্তির বেলায়ই সমান। সুদূর অতীতের বা অভতিদূরের সংস্কৃতিও অনেকটা, দৃষ্ট-অস্তরালিত ওই আকাশের মত । অতীত মাত্রেই পুরোবতিতা-অতিক্রম করে চলে যাওয়া কালের অতলে লুকানো কিছু। অনতিপূরবকালিকের সম্বন্ধে তবুও যেন দেখি দেখি তাঁবটা মনের মধ্যে জাগরুক কিন্তু দূর অতীত সুদূর অতীত স্মপ্রাচীন অতীত সম্বন্ধে সে তাবটাও WAT | অথচ তাঁর ভিজ্ঞাসা, অথবা ভিজ্ঞাসা-ই বা বলি কেন, একেবারে জানবার পিপাসাই যেন অপরিহার্য। কিন্তু কি উপায়? সে কালের সংস্কৃতির বা শিক্ষা-দীক্ষার দৃশ্যত্ব এব্যত্বাদি যাবতীয় অনুভবগম্যতা চিরকালের জন্য অতীত কুহরে বিলীন হওয়ায় কেবল সাক্ষ্যবহ নিদর্শন অবলম্বনে কোন রকম ধারণা লাভ করা ছাড়া অন্য কিছু TSA নহে । নিদর্শনের মধ্যেও কোনটা বা একেবারে মুক, কেবল তাঁর আঙ্গিকের অনুশীলন দ্বারা কোন আভাস দিতে পারে। কোনটা তারচেয়ে অনেক বেশী উপস্থাপন করতে সক্ষম তাঁর মধ্যেকার সঙ্কেতনিবদ্ধ কথাদ্বারা। এ দুয়ের দ্বিতীয়টাই অধিকতর উপযোগী। একারণেই অতীতের শিক্ষা-দীক্ষাৰ বাহন পু'খি-পুস্তকের উপর নির্ভর করে সংস্কৃতির আলোচনা ছিল এখানে মুখ্য। জগতে দু'প্রকার বস্তুরই মাত্র সমাবেশ দেখা যায়-_বিনশ্বর এবং অবিনশ্বর। Tarts অনুসারে,স্পরমাণু, আকাশ, কাল, দিক্‌ ot (tat বা ঈশ্বর হতে অতিন্ন) এবং যন-- এই কয়টি বস্তু oto আর সমস্তই বিনশ্বর। আমাদের আলোচ্য অবলম্বণীয় যাবতীয় বস্তুই বিনশ্বর এবং কাল তার অনেক কিছুই চিরতরে অনস্তিত্বের কুহরে চিরবিলীন করেছে। তথাপি, এখনও আমাদের নাগালের মধ্যে অনেক প্রাচীন ষযইপত্রে আছে যাব সাহাযো সুদূর অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত সংস্কৃতির



Leave a Comment