বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
70 MB
মোট পৃষ্ঠা
814
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)মাল্যদান যতীন কুড়ানির কাছে আসিয়া তাহার নাড়ী দেখিয়া মাথা নাড়িয়া ইঙ্গিতে জানাইল
যে, আশা নাই। পটল কুড়ানির কাছে আপনাকে প্রকাশ না করিয়া যতীনকে আড়ালে লইয়া কহিল
যতীন সত্য বলো। তুমি কি কুড়ানিকে ভালোবাস a যতীন পটলকে কোনো উত্তর না দিয়া কূড়ানির বিছানার পাশে আসিয়া বসিল। তাহার
হাত চাপিয়া ধরিয়া নাড়া দিয়া কহিল, 'কুড়ানি, কুঁড়ানি।' কুড়ানি চোখ মেলিয়া মুখে একটি শান্ত মধুর হাসির আভাসমাত্র আনিয়া কহিল, “কী,
দাদাবাবু।' যতীন কহিল, Pura, তোমার এই মালাটি আমার গলায় পরাইয়া wre!’ কুড়ানি অনিমেষ অবুঝ চোখে যতীনের মুখের দিকে তাকাইয়া রহিল। যতীন কহিল, 'তোমার মালা আমাকে দিবে না?' যতীনের এই আদরের প্রশ্রয়টুকু পাইয়া PAA মনে পূর্বকৃত অনাদরের একটুখানি
অভিমান জাগিয়া উঠিল। সে কহিল, “কী হবে, দাদাবাবু।' যতীন দুই হাতে তাহার হাত লইয়া কহিল, 'আমি তোমাকে ভালোবাসি, por’ শুনিয়া ক্ষণকালের জন্য কুড়ানি স্তব্ধ রহিল; তাহার পরে তাহার দুই চক্ষু দিয়া অজস্র
জল পড়িতে লাগিল। যতীন বিছানার পাশে নামিযা হাটু গাড়িয়া বসিল, কুড়ানির হাতের
কাছে মাথা নত করিয়া রাখিল। কুড়ানির গলা হইতে মালা খুলিয়া যতীনের গলায়
পরাইয়া দিল। তখন পটল তাহার কাছে আসিয়া ডাকিল, “কুড়ানি।' কুড়ানি তাহার শীর্ণ মুখ উজ্জ্বল করিয়া কহিল, 'কী দিদি।' 'পটল তাহার কাছে আসিয়া তাহার হাত ধরিয়া কহিল, 'আমার উপর তোৰ আর
কোনো রাগ নাই বোন? কুড়ানি স্লিগ্ধকোমলদৃষ্টিতে কহিল, 'না দিদি ।' পটল কহিল, “যতীন, একবার তুমি ও ঘরে যাও ।' যতীন পাশের ঘরে গেলে পটল ব্যাগ খুলিয়া Poa সমস্ত কাপড়-গহনা তাহার
মধ্য হইতে বাহির করিল। রোগিণীকে অধিক নাড়াচাড়া না করিয়া একখানা বেনারসি
শাড়ি সম্ভর্পণে তাহার মলিন Aya উপর জড়াইয়া দিল। পরে একে একে এক এক
গাছি চুড়ি তাহার হাতে দিয়া দুই হাতে দুই বালা পরাইয়া দিল। তার পরে ডাকিল, 'যতীন।' যতীন আসিতেই তাহাকে বিছানায় বসাইযা পটল তাহার হাতে কুড়ানির একছড়া
সোনার হার দিল। যতীন সেই হারছড়াটি লইয়া আস্তে! আস্তে কুড়ানির মাথা তুলিয়া
ধরিয়া তাহাকে পরাইয়া দিল। ভোরের আলো যখন কুড়ানির মুখের উপরে আসিয়া পড়িল তখন সে আলো সে '
আর দেখিল ati তাহার অম্লান মুখকান্তি দেখিয়া মনে হইল, দে মরে নাই --কিন্তু সে
যেন একটি অতলস্পর্শ সুখস্বপ্নের মধ্যে নিমগ্ন হইয়া গেছে। . যখন মৃতদেহ লইয়া যাইবার সময় হইল তখন পটল কুড়ানিক্ন রুকের উপর পড়িয়া
কাদিতে কাঁদিতে কহিল; “বোন, তোর ভাগ্য ভালো। জীবনের চেয়ে তোর মরণ সুখের | যতীন কুড়ানির সেই «ew মৃত্যুচ্ছবির দিকে চাহিয়া ভাবিতে লাগিল, 'যাহার ধন তিনিই নিলেন, আমাকেও বঞ্চিত করিলেন arr ১৮