বইয়ের লেখক
Amales Tripathi - অমলেশ ত্রিপাঠী,
Barun De - বরুন দে,
Bipana Chandra - বিপান চন্দ্র,
Brajdulal Chattopadhyay - ব্রজদুলাল চট্টোপাধ্যায়
Barun De - বরুন দে,
Bipana Chandra - বিপান চন্দ্র,
Brajdulal Chattopadhyay - ব্রজদুলাল চট্টোপাধ্যায়
বইয়ের আকার
16 MB
মোট পৃষ্ঠা
214
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ব্রিটিশ শাসনের প্রভাব 7 পারে। তার পুরনো ধাঁচের অর্থনীতির গঠন ছিল যন্ত্রশিক্পের সম্পর্করহিত; সে গঠনকে
এবার পরিবর্তন করার দরকার হল। ১৮১৩-র পরে ভারতে ব্রিটিশ শাসন পুরোপুরি
এই উদ্দেশ্যেই ভারতীয় শাসন ব্যবস্থা, অর্থনীতি এবং সমাজের রূপান্তর সাধনের
কাজ হাতে নিয়েছিল। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, বৃটিশ পুঁজিপতিদের সম্পূর্ণ অবাধ প্রবেশাধিকার দেওয়া
হল। তাদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ যেমনভাবে খুশি চালিয়ে যাবার অনুমতি ছিল।
আর সবার ওপরে হল অবাধ বাণিজ্যের প্রবর্তন। ভারতের বন্দর এবং বাজারগুলি
অবাধে উন্মুক্ত করে দেওয়া হল ব্রিটিশ উৎপাদকদের কাছে। ব্রিটিশ পণ্য ভারতে
প্রবেশাধিকার পেল সম্পূর্ণ বিনা ace কিংবা বড়োজোর নামমাত্র OTS | শাসনব্যবস্থা
এখন শুধু রাজস্ব আদায় এবং বাণিজ্যিক নিরাপত্তার খাতিরে অহিন শৃঙ্খলা রক্ষার
মধ্যেই সীমাবদ্ধ রইল না; তাকে অনেক বেশি বিশদ ও ব্যাপক করে তোলা হল এবং
নানা ধরনের কাজের ক্ষেত্র প্রসারিত করা হল। শাসনের পরিধি অনেক বেশি বিস্তৃত
হয়ে গ্রামাঞ্চলেও অনুপ্রবেশ করল যাতে ব্রিটিশ পণ্য দেশের অভ্যস্তরে ছোটো ছোটো
শহরে এবং গ্রামে পৌঁছতে পারে এবং সেসব অঞ্চল থেকে রপ্তানির উপযোগী কৃষিজ
সামগ্রী আহরণ করে আনতে পারে। এইভাবে উনবিংশ শতাব্দীতে ভারতে ব্রিটিশ
শাসনের চরিত্র ব্যাপকভাবে ও দ্রুত গতিতে রূপান্তরিত হল। এছাড়া, ভারতীয় সমাজকে ধনতন্ত্রভিত্তিক ব্যবসার সম্পর্কের ওপর দীড় করাতে
গেলে তার পুরো আইনের কাঠামোটিকেও আগাগোড়া পালটানোর প্রয়োজন ছিল।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে যে আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ
অর্থনৈতিক লেনদেনকে যদি কার্যকর করে তুলতে হয়, তা হলে সে ক্ষেত্রে যে কোনো
চুক্তিকে অলঙঘনীয় জ্ঞান করা দেশের প্রথম আইন ও নীতি হতে বাধ্য। এইভাবে
একটি নতুন বিচারব্যবস্থার সৃষ্টি হল যার ভিত্তি ছিল সম্পূর্ণ নতুন কিছু নিয়ম ও
আইনের ধারার সমষ্টি। এর উদাহরণ Seay পেনাল কোড বা ভারতীয় ফৌজদারি
আইন। রাষ্ট্রের এই বিশাল নতুন শাসনযন্ত্র ও বিচার-ব্যবস্থাকে চালু রাখার জন্য এবং
ব্রিটিশ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলির নি্নস্তরে কাজ করার জন্য বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত
কর্মচারীর প্রয়োজন দেখা দিল! ব্রিটেনের জনবল এত বেশি ছিল না যে তা দিয়ে এ
কাজ চালানো যেতে ANA | তা ছাড়া ভারতের মতো সুদূর উপনিবেশে, তার অশ্রীতিকর
জলবায়ুর মধ্যে ইংরেজদের টেনে আনতে গেলে তাদের যেরকম বেশি মাইনে দিতে
হত যে, সব চাকুরিতে ইংরেজ কর্মচারী নিয়োগ করা ভারত সরকার বা ব্রিটিশ
ব্যবসায়ী কারুরই সাধ্যে কুলোত না। আধুনিক শিক্ষার গোড়াপত্তন হয়১৮১৩ সালে
কিন্তু তা প্রসারলাভ করে ১৯৩৩-এর পর থেকে। ভারতে আমদানি করা পণ্যের পরিমাণ ছিল বিপুল। কীচামালের রপ্তানির পরিমাণ