শ্রেষ্ঠ গল্প : শ্রেষ্ঠ লেখক | Srestha Galpa : Srestha Lekhak

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
হা পিসীমা। যদু উত্তর দিল। তুলসী একটা কলাই-করা থালা হাতে বসে আছে চুপ করে। পরিধানে খাটো একটা নোংরা পদার কাপড়, বুকের ওপর থেকে গেরো দিয়ে ঝোলানো। আভরণের মধ্যে হাতে একটা কৌড়ির তাবিজ। দেখবার মত চেহারা এই তুলসীর। বছর চৌদ্দ বয়স, তব্‌ সবাঙ্গে একটা we পরিপুচ্টি। কোন ডাকিমীর wat কোট্টা মৃতির মত কালি-মাড়া শরীর। মোটা থ্যাবড়া নাক। মাথার খলিটা বেঢপ, টেরে বেঁকে গেছে। চোয়াল জুড়ে জন্তর একটা হিংসা ফুটে রয়েছে যেন। মুখের সমস্ত পেশী ভেঙ্গে Bra গেছে ছন্নছাড়া বিক্ষোভে । এ মুখের দিকে তাকিয়ে দাতাকর্ণও দান ভুলে যায়। গা শির শির করে। কিন্তু যদু বলল--তুলসীর ডভিক্ষের রোজগারই নাকি এদের পেটভাতের একমান্ন নিভর। হাব তিক fous করতে আসে নি। মিউনিসিপ্যালিটি এদের বস্তি ভেঙ্গে দিয়েছে। নতুন আফিসের গুদাম হবে সেখানে । শহর এলাকায় এদের থাকবার আর হুকুম নেই। হাব কান্নাকাটি করল--একটা সারটিফ্িকেট দিন বাবা। মচিপাড়ার ভাগাড়ের পিছনে থাকব। দীননাথের দিব্যি, হাটবাজার শঘেঁসবো না কখনো। তুলসীই fers খাটবে, ওর তো আর রোগ বালাই নেই। পিসীমা বললেন--যেতে বল, যেতে বল। গা fra লিন করে। কিছু দিয়ে বিদেয় করে দে রাণু। রাণু বলল--আমার ছেঁড়া ফ্লানেলের ব্লাউজটা দিয়ে দিই। এই শীতে wa ছেলেটা বীচবে। ——5t, দিয়ে ml থাকে তো একটা ছেঁড়া শাড়িও দিয়ে দে। বয়েস হয়েছে মেয়েটার, লজ্জা রাখতে হবে তো। কৈলাস ডাক্তার বললেন--আচ্ছা, যা তোরা । We ফিকেট দেব, কিন্তু খবরদার, হাটবাজারে আসিস্‌ না। হাব্‌ তার সংসারপনল্ত নিয়ে আশীবাদ করে চলে গেলে তুলসীর কথাটাই আলোচনা হল আর একবার। কৈলাসবাবু হেসে হেসে বললেন--দেখলে তো সুন্দরী তুলসীকে। ewe বিয়ে হয়ে যাবে জানো ? ঝি উত্তর দিল--বিয়ে হবে না কেন? সবই হবে। তবে সেটা আর বিয়ে নয়। বকৈলাসবাব্‌ আর একটি ata} দেখে এসেছেন। নন্দ দত্তের বোন দেবপ্রিয়া। মেয়েটি ভালই, তবে সৃকুমার একবার দেখে আসুক | দেখান হল দেবপ্রিয়াকে। মেদের ard বয়স ঠিক ভাহর হয় না। চওড়া কপাল, ছোট চিবক, গোল গোল চোখ। গায়ের রং মেটে, কিন্তু সুমস্থণ। ভারি ভুরু দুটোতে যেন তিন্বতী উপত্যকার ধৃত একটু ছায়া--প্রছম এক মঙ্গোলিনীকে ইশারায় ধরিয়ে দিচ্ছে। ঠোটে হাসি লেগেই আছে। সে বোধ হয় জানে, তার এই অপ্রাক্কৃত পৃথূলতা লোক হাসাবার মতই। দেবপ্রিয়ার গলা মিষ্টি, গান গায় ভাল। সুকুমার ই না কিছুই বলে না। বলা তার স্বভাব নয়। বোঝা গেল, এ মেয়ে তার পছন্দ নয়। পিসীমাও বললেন--হবেই না তো পছন্দ। শুধ্‌ গলা দিয়েই তো আর সংসার করা যায় না। ভা ছাড়া নন্দরা বংশেও থাটো। ৬ শ্রেষ্ঠ গল্প : শ্রেষ্ঠ লেখক



Leave a Comment