For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)মাটির মানুষ একটা দমকা কাল মেঘে বিকালের সোনালী আলোটুকু যেন BIA হইয়া যায় এক মুহূর্তে | আবার কিছুদিনের মধ্যে আরেকটা সম্বন্ধ আসে চাকলাদার পাড়ার পঞ্চাশ বছরের
শশীভূমালীর সঙ্গে । শশীর বৌ মরিয়া গিয়াছে অনেকদিন আগে CATS ছেলে ও ছেলের
বৌ রাখিয়া। _ বুড়া নিজেই মেয়ে দেখিতে আসে। যমুনা লুকাইয়া বেড়ার ফাঁক দিয়া দেখে। শশীর
চকচকে টাক মাথাটাই চোখে পড়ে শুধু। ভীত হইয়া উঠে যমুনা-_-মনে মনে ভাবে-_
এত কাশে কেন বুড়াটা...কি বিশ্রি কাশির শব্দ। নিকুঞ্জের চেহারাটা বারে বারে মনে পড়ে-__আর মনে মনে ভগবানকে Gils | এবারও FAC আসিয়া মেয়ে সাজায়-_টিপ পোকা কাটিয়া আমের আঠা দিয়া
কপালে টিপ লাগাইয়া দেয়। যমুনা ঘরে গিয়াই নখ দিয়া খুটিয়া টিপ তুলিয়া ফেলেঃ হে
ভগবান, যেন পছন্দ না হয় তাকে। কিন্তু তবু মেয়ে পহন্দ হইয়া যায় শশী ভূমালীর।
টাকার অঙ্কেও মিলিয়া যায়। কাজেই পাকা কথা হইয়া যায় সেই MAL! ডাগর মেয়েকে আর বসাইয়া রাখা যায়
না--সমাজের ভয় আছে। যমুনার মা আড়ালে চোখ মুছে। পাঁজি দেখিয়া দিনক্ষণ দেখিয়া শশীর সঙ্গে যমুনার বিয়ে হইয়া যায়। মেয়ে জামাই
রওনা হইয়া গেলে বৌঝিরা সব যে যার ঘরে ফেরে পান বাতাসা হাতে নিয়া। বলাই কিছু দূর পর্যন্ত দিদির পেছনে যায়। TEAS ঘোমটার ভিতর যমুনার কচি
মুখখানি চোখের জলে ভিজিয়া একাকার। বলাই একটা উঁচু বাশের rasta উপর
দাঁড়াইয়া দেখে-_ দূরে AN দিদির অস্পষ্ট ছবি। এ বুড়ার সঙ্গে কেন যে দিদির বিয়ে
হইল--_বলাই কিছুতেই বুঝিতে পারে না। উহারা মারিবে না ত দিদিকে! বলাইএর চোখ
দুটা জলে ভরিয়া উঠে--প্রীতিভরা সহজ আবেগের এক অবুঝ গুমরানি ভীরু মনে। সদ্যো-বিবাহিত শশী ভূমালী বৌকে নিয়া পদ্মদীথি পার হইয়া হরিখোলার মাঠের ধার
দিয়া SADA চলে। দক্ষিণে অনেক দূরে চাকলাদার পাড়ার তালগাছের সারি। মাঝে বিস্তৃত
Da ক্ষেত। সরু মেঠো পথের উপর দিয়া অগ্রসর হয় শশী ভুমালী। হাতের শিথিল
চামড়ায় বাঁধা TIA হলুদ সূতা। যমুনার পরনে কোরা লালপাড় শাড়ি, হাতে সিন্দুরের
রাজ কৌটা। ভীরু পদক্ষেপে ছোট ছোট পা ফেলে যমুনা, পেছনে ঘন ঘন কাশির শব্দ শূন্য-ঘমা্ঁ
প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠে। এক অজানা আশঙ্কায় ভীত হইয়া উঠে যমুনা। চোখের জল
SHAM যায় অলক্ক্যে। শশী বারে বারে তাকাইয়া দেখে যমুনার দেহের গড়ন, খুশি হইয়া উঠে সে মনে
মনে ঃ 'বাড়স্তই আছে মেয়েটা।” কামাতুর মৃদু হাসি খেলিয়া যায় বৃদ্ধের গৌফের
আড়ালে। লোল চামড়ার ভিতর হইতে ree চোখ দুইটিতে একটা লোভী দৃষ্টি জ্বল ১৯