হিং টিং ছট সমগ্র [পর্ব-১] | Hing Ting Chhat Samagra [Part-1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আমি সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলাম, “না, না, কিছুই মনে করছি না। সত্যি কথাটা বুঝে গেলেন, ভালই হল।' লম্বা সিগারেটে উপর্যুপরি সাড়ে তিনটি টান দেওয়ার পর তিনি শুরু করলেন, “আপনি শুধু লেখায় সুব্রত সম্পর্কে লাইনটাই পড়েছেন। তারপর যে “Wea — 'কিন্তু'-_ “অবশ্য' গুলো আছে, খতিয়ে দেখেননি। যথা: সুব্রত ইস্টবেঙ্গলে ATR | “তবে” ইস্টবেঙ্গলের কিছু ফুটবলার সেটা না চাইলে ব্যাপারটা ঘুরে যেতে পারে। যথা: সুব্রত মোহনবাগানে থাকছেই | “কিন্তু' মোহনবাগানের কিছু কর্মকর্তার আচরণে উত্ত্যক্ত হয়ে সুব্রত দল বদল করলে বিস্মিত হবেন না। যথা: সুব্রতর মহমেডানে আসার রাস্তা পাকা | 'অবশ্য' মহমেডান কর্মকর্তারা মজিদ- জামশিদকে নিলে পাকা ঘুঁটি কেঁচে যেতে পারে। এই রকম আর কি! কিছুটা বোধগম্য হওয়ায় গলা ঝেড়ে প্রশ্ন করলাম, “কিন্তু একই কাগজে যে দু-তিন রকম লিখেছে?” তিনি হাসলেন : তা তো লিখতেই হবে। যে-কোনও একটা মিলে গেলেই BA’ তারপর, তিনি আমায় একটা ছোট্ট ঘরে নিয়ে গেলেন। সেখানে একটি বিশাল চার্ট। বড় বড় রেলওয়ে বুকিং কাউন্টারে যেমন থাকে। তাতে বাঁ দিক দিয়ে কলকাতার সব বিখ্যাত ফুটবলারের নাম। তারপর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত তারিখ লেখা, প্রত্যেক তারিখের জন্য একটা করে খোপ। তাতে তিনি লিখে রাখছেন, ই বি, এম বি, এম এস। আমি গিয়েছিলাম ৭ ফেব্রুয়ারি। ১ তারিখে সুব্রতর মোহনবাগানে থাকার সম্ভাবনা, ভাস্করের ইস্টবেঙ্গলে যাওয়ার কথা, মইদুলের মহমেডানেই থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা। তিনি বললেন, “১৫ মার্চ দলবদল OS | আশা করছি ওই দিন সকালে শেষ খবর দিতে পারব। না হলে, চার্ট এক্সটেন্ড করতে হবে । লেখাটা তৈরি করার মুখে এডিটর সাহেব বললেন, “একটা কথা মনে রেখ, লেখার হেডিংটা যেন সত্যি হয়। মাঝে যা খুশি লেখ ক্ষতি নেই ।' অনেক ভেবেচিন্তে লেখার হেডিং দিলাম : “সুব্রত হাওড়া ইউনিয়নে যাচ্ছে at’ বললাম, “এটা ভূল প্রমাণিত হওয়ার কোনও চান্স নেই এডিটর সাহেব লেখাটি সশব্দে ওয়েস্ট পেপার বাস্কেটে ফেলে উচ্চারণ করলেন, 'অপদার্থ !” -বীচা গেল। ১৪



Leave a Comment