For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)২০ অবস্তীনগর না। এত ঘোড়াও দরকার ছিল না। সেই কারণে তাহারা ভাড়া দিলেন।
একতলার আস্তাবলে কালির কল হইল, ছাতে কালির তাল শুকাইত। দিনে
রোদে, রাতে হাওয়ায় । বৃষ্টি আসিলে ত্রিপল ঢাকা দিবে কে? এই বিবেচনা
করিয়া নয়ানকৃষ্ণ সাহার গলি হইতে আমার পিতা সপরিবারে চিৎপুরের
বাসায় চলিয়া আসিলেন। ইতিমধ্যে আমার পিতা বিবাহ করিয়াছিলেন।
আমার মামার বাড়ি মসজিদ বাড়ি স্ট্টি। মামার বাড়ির কথা পরে বলিব।
চিৎপুরের ওই কালির কলে আমি দেখিয়াছি কয়েকজন কর্মচারীর সহিত
আমার পিতা ও মাতা দুই জনে কাজ করিতেছেন। পাউডার ডাইসে
ফেলিয়া হাতুড়ি পিটাইয়া ট্যাবলেট তৈয়ারি করিয়া গণিয়া গণিয়া কৌটায়
ভরিতেছেন। কৌটার গায়ে বাংলায় লেখা ভারত কালি। স্বদেশী কালি।
আমরা দোতলায় থাকিতাম। গঙ্গায় স্নান করিতাম। আমাদের জামা কাপড়
দেখিলে লোকে ভাবিত দোল খেলার জামা পরিয়াছি। বৃষ্টি আসিলে হই হই
করিয়া ছাতে যাইতাম এবং কালির তালে ত্রিপল ঢাকা দিতাম। তখনও
আজিকার মতো পলিথিন বাহির হয় নাই। বত্রিপলগুলি খুবই ভারী ছিল।
যখন বৃষ্টি হইত, ছাতের পাইপ দিয়া লাল জল নীল জল পড়িত। আমি
আশ্চর্য হইয়া পাইপের রঙিন জলের ঝরনা দেখিতাম। ওই বাড়িটি এখন
গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম হইয়াছে। আমি আহেরিটোলা বঙ্গ বিদ্যালয়ে
ভরতি হইয়াছিলাম। যে ইস্কুলে পড়িয়াছিলেন কত না মনীষী | আমার সঙ্গে
পড়িত ছুকু। ভালো নাম সুধীন্দ্র লাহা। মস্ত বড়ো ইঞ্জিনিয়ার হইয়াছিল।
হাওড়া ব্রিজ তৈয়ারিতে তার হাত ছিল। চৌদ্দ তলা বাড়িটি, নিউ
সেক্রেন্টারিয়েট, Bs নিজে দাঁড়াইয়া থাকিয়া করিয়াছে। আমার নাথের
বাগানের বাড়িটির প্ল্যানও ছুকুর করা। আমি যখন বাড়ি হইতে গুড় ছোণা
টিফিন আনিতাম, ছুকুও তাহাই আনিত। অনেকের বাড়ি হইতে টিফিনের
সময় চাকর আসিয়া দুধ সন্দেশ খাওয়াইযা দিত। আমার সহপাঠীরা
অনেকেই হাতের চেটোয় ঠোটের দ” মুছতে মুছিত্ ক্লাসে আসিত। আমি
আর ছুকুই গরিব ছিলাম। ছুকুর সহিত আমার THE অটুট ছিল | ছুকুই আগে
চলিয়া গেল