কৃষকসভার ইতিহাস [সংস্করণ-১] | Krishaksabhar Itihas [Ed.1st]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
শ্রেণী সৃষ্টি করেন তাঁ এ পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিক ও সামাজিক জীবনে একটা মারাত্মক অভিশাপ হয়েই থেকেছে। কোম্পানীর প্রয়োজন ছিল টাকার, বাংলাদেশের মানুষের এবং প্রধানত কৃষক সমাজের সম্পদ শোষণ করে যত বেশি সম্ভব অর্থ সংগ্রহ করার । সেই সঙ্গে প্রয়োজন ছিল ঢেশের অনিশ্চিত ও অশান্ত অবস্থার মধ্যে মোটামুটি একটা শাস্তি স্থাপন করবার এবং তার সরকারের জন্য একটা সামাজিক সমর্থন পাবার। তাই এই নতুন জমিদার শ্রেণীকে সৃষ্টি করা হল কোম্পানীর সরকারের সামাজিক সমর্থক ও সহায় হিসাবে; সোজা কথায়, facet কোম্পানীর সরকারের একটা দালাল শ্রেণী হিসাবে | এ রকম একটা সমর্থনের জন্য স্বভাবতই যথেষ্ট দাম দেবার প্রয়োজন fer! বিলাতের বৃহৎ oferta কর্ণওয়ালিসের সময়ে তাই পূর্বেকার ভূমিরাজস্ব আদায়কারী কমিশন aces বা তহসিলদারদের একেবারে জমির মালিক করে দেওয়া হল । সেজন্য অবশ্য কোম্পানী দামটা আদায় করলে দেশের কৃষক সমাজের কাছ থেকে | তখন কৃষকরাই ছিল জমির মালিক। এখন তাদের সে মাপিকানা কেড়ে নিয়ে কোম্পানীর সরকার তা তুলে দিলে নতুন জমিদার শ্রেণীর হাতে । কোম্পানী এখন কৃষকদের নিঃস্ব হবার পথ খুলে দিলে । দেশী শিল্পের উপর আঘাত * ইতিমধ্যে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী বিপাত থেকে পুঁজিবাদী কারখানায় তৈরি সম্ভা দরের কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র আমদানী করে এদেশের কারিগরী শিল্পের বিপদ ঘটিয়েছিল ৷ পুঁজিবাদী শিল্পে তৈরি কাপড় ও অন্যান্য জিনিসের দর সম্ভ! হত এবং এদেশের বাজার দখল করবার উদ্দেশ্যে তা বিশেষভাবে সম্ভা দরে বিক্রী করা Sw তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না| পেরে এদেশের কারিগরী ও কুটিরশিল্প পিছু হটতে লাগল। এখানকার প্রাচীন ও মোটের উপর স্বাভাবিক অর্থব্যবস্থার উৎপাদন বিলাতী পুঁজিবাদী পণ্য উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পেরে উঠল না। যে সব কৃষক কুটির শিল্পের সাহায্যে বেশ কিছু আয় করত, এখন তারা বাধ্য হল কুটিরশিল্প ত্যাগ করে একমাত্র চাষের উপর নির্ভর করতে | ষভাবতই তাহাদের আয় অনেক কমে গেল কিন্তু জমির উপর চাপ বেড়ে গেল । ' কিন্তু কৃষি সম্বন্ধেও কৃষকদের জীবনে চিরস্থায়ী wets নিয়ে এল ১৬৩



Leave a Comment