সাহিত্য তত্ত্ব রূপরেখা | Sahitya-tattwer Ruprekha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৮ সাহিত্য তত্বের রূপরেখা বলা হয় লক্ষণা। একটি উদাহরণ নেওয়া যাক,--“এমন মানব জমিন রইল পতিত আবাদ বকৈলে ফলত সোনা”-_শঙব্বধের মুখথ্যার্থের দ্বারা এর অর্থ করা যায়" না। সোনার মুখ্যার্থ হোল মহার্ঘ ধাতুবিশেষ। ধাতু অর্থে কথাটিকে ধরলে অর্থ করা যায় না। কাজেই গৌণ অর্থের ছারস্ব হতে হোল। সোনা এশ্বর্ষের প্রতীক-_ সমৃদ্ধির প্রতীক । এই অর্থেব ছোতনায় পাওয়া গেল, মানুষের ভীবনক্ষেত্র পতিত না রেখে, যথার্থ কর্ষণ করলে সমৃদ্ধ হয়ে উঠত-_এশ্বর্যমণ্ডিত হয়ে উঠত। সোন] এখানে ধাতুরূপ পরিহার করে মহার্থতার cy নব্তর HATTA) করেছে। একেই বলেছি লক্ষণা। কিন্তু একটি কথ: মনে রাখতে হবে বাচ্যার্থের চাইতে লক্ষ্যার্থ উচুদবেব হলেও তা সীমাব দ্বারা পরিচ্ছিন্ন। লক্ষণা অভিধার মতোই বাঞ্চনার সহকাবী | oq £ আমরা লক্ষ্য করেছি অভিধা এবং লক্ষণার শক্তি সীমিত। তারা আপন আপন শক্তি বলে বাকার্থ প্রকাশের শেষ সীমায় পৌছবার পবেও বাক্যার্থ সম্পূর্ণ পবিস্ফুট হয় না । তখন যে বৃত্তিব বলে শব্দ নতুন অর্থ পরিগ্রহ কবে--তাকে বলে BW বা ধ্বনি Ban শক্তি বলে প্রকাশিত অর্থকে বলে ব্য্গ্যার্থ ; বাঙ্গ্যার্থ প্রকাশক শব্দকে বলে বাঞ্জলক awit afer নয়। সমহদয়ের স্বাধীন কল্পনায় তার যথার্থ কপ sfeafes হয়। ধ্বনি সম্পর্কে আচার্য আনন্দবদর্ধন বলেছেন,-- | “প্রতীয়মানং পুনরন্যদেব বস্তুৃপ্তি বাণীযু মহাকবীনাম্‌ | যত্তংপ্রসিদ্ধাবয়বাতিরিক্তং বিভাতি লাবণ্যমিবাঙ্গনাসু ॥” [ধ্বন্যালোক ১।৪ ] [মহাকবিদের বাণীতে দেহাতিরিক্ত এমন একটি qa থাকে যা শব্ধ অর্থ, রীতিকে ছাডিযে যায়, এইটে অঙ্গনাদের লাবণ্যের মত কাব্যদেহে ঝলমল করতে থাকে ৷] এ অতিরিক্ত বস্তুকে বলা হয়েছে weal! ব্যঞজনার ভিত্তি ছোল বাচ্যার্থ, সহায়ক লক্ষণা। এইবারে একটি উদাহরণ নিয়ে বিষয়টা বিশ্লেষণ করা যাক,-_ “এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর | x waaay মাহ ভাদর শূন্য মন্দির মোর ॥”



Leave a Comment