বাংলা বানান | Bangla Banan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২ বাংলা বানান স্থনীতিকুমারের এই মত, আমাদেশ্নও এই মত। তবু কেন “আচার্য লিখছি তার কৈফিয়ৎ দেওয়া দরকার | “কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বানান-সংস্কার-সমিতি'র প্রথম সংস্কারই হল 'রেফের পর ব্যঞ্জনের দ্বিত্বববর্জন”। সংস্কার-সমিতির প্রথম পুস্তিকা প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালের মে মাসে | এই পুস্তিকায় প্রথম নিয়মটিই ছিল “সংস্কৃত শব্দে যদি ব্যুৎপত্তির জন্য আবশ্যক হয় তবেই রেফের পর দ্বিত্ব হইবে; যথা-_কাত্তিক, বার্তা, afer ইত্যাদি। অন্যত্র fax হইবে না; যথা-_অজুন, কর্ম, সর্ব, WT ইত্যাদি ।” সংস্কার-সমিতির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় এ বছরই অক্টোবরে । এবারে উক্ত বিধানের ব্যতিক্রমটিও তুলে দেওয়া হল। বলা হল “রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের fay হইবে না; যথা-_অর্চনা, মুছা, কাতিক, অর্ধ, কার্য, AT” এই পুস্তিকার গোড়াতেই দেখা গেল রবীন্দ্রনাথের হস্তাক্ষরে লেখা কয়েকটি লাইন-_“বাংলা বানান সম্বন্ধে যে নিয়ম বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট করিয়া দিলেন আমি তাহা পালন করিতে সম্মত আছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১১ই সেপ্টেম্বর, ১৯৩৬”। নীচে আরও একটি স্বাক্ষর আছে-_“স্ীশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ১লা আশ্বিন, ১৩৪৩”। fee দ্বিতীয় সংস্করণই শেষ সংস্করণ নয়। তৃতীয় RBI] (ABA ১৯৩৭-এর জুন মাসে । এবারও কোন ক্ষেত্রেই রেফের পর দ্বিত্ব আর ফিরে এল না। ইতিমধ্যে অধ্যাপক দেবপ্রসাদ ঘোষ এইস্বমস্ত নিয়মের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি তুললেন। তিনি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কিছু অগ্প-কটু ভাষাতেই পত্র-ব্যবহার শুরু করলেন, যদিও উপসংহারে প্রণাম জানাতেন এবং নিজ নামের পূর্বে ‘ew’ লিখতেন । রবীন্দ্রনাথও তার free বাগ্ভঙ্গিমায় একরকম দ্বৈরথযুদ্ধেই অবতীর্ণ হলেন । তিনি লিখলেন, “রেফের পর ব্যঞ্জনের' দ্বিত্ব-বর্জন সম্বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় যে নিয়ম নির্ধরিণ করে দিয়েছেন তা নিয়ে বেশি তর্ক করবার দরকার আছে বলে মনে করি নে। ধারা নিয়মে স্বাক্ষর দিয়েছেন তাদের



Leave a Comment